সামিট গ্রুপের সঙ্গে এলএনজি সরবরাহের জন্য নির্মিত দ্বিতীয় ভাসমান টার্মিনাল (এফএসআরইউ) সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করেছে সরকার। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চুক্তিটি বাতিল করেছে পেট্রোবাংলা।
সামিট গ্রুপের সঙ্গে এলএনজি সরবরাহের জন্য নির্মিত দ্বিতীয় ভাসমান টার্মিনাল (এফএসআরইউ) সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করেছে সরকার। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চুক্তিটি বাতিল করেছে পেট্রোবাংলা।
সম্প্রতি সামিট গ্রুপ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, তারা এফএসআরইউ টার্মিনাল ব্যবহার সংক্রান্ত চুক্তি বাতিলের নোটিশ পেয়েছে।
এটি অযৌক্তিক এবং পর্যালোচনার জন্য আপিল করা হবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে তারা বলে, বাংলাদেশে দায়িত্বশীলতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রমাণ রয়েছে এই গ্রুপের।
চলতি বছরের ৩০ মার্চ পেট্রোবাংলা ও সামিট গ্রুপ টার্মিনাল ব্যবহার এবং এফএসআরইউ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত দুটি চুক্তি সই করে।
একই দিনে তারা প্রতি বছর দেড় মিলিয়ন টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের জন্য ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তি করে, যা ২০২৬ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়ার কথা।
সামিট গ্রুপের প্রথম এলএনজি টার্মিনালটি চালু হয় ২০১৯ সালে। মহেশখালির গভীর সমুদ্রে অবস্থিত টার্মিনালটি দিনে ৬০ কোটি ঘনফুট গ্যাস এলএনজি রিগ্যাসিফিকেশন করে সরবরাহ করতে পারে।
২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কক্সবাজারের মহেশখালীতে দেশের তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল বা এফএসআরইউ নির্মাণের খসড়া চুক্তি অনুমোদন করে। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এটির অনুমোদন দেন। চুক্তি অনুযায়ী, টার্মিনাল চালুর পর থেকে ১৫ বছর মেয়াদে দৈনিক ৩ লাখ ডলার (চুক্তিতে উল্লিখিত বিনিময় হার অনুযায়ী ৩ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকার সমপরিমাণ) রিগ্যাসিফিকেশন চার্জ পাবে সামিট।
ওএফএ/জেডএস