রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পাশাপাশি গত আগস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি) ব্যাপক রদবদল ঘটেছে। নতুন সভাপতি পদে ফারুক আহমেদের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিসিবির নতুন পর্ষদ। অনুষ্ঠিত হয়েছে একাধিক বোর্ড সভাও। সবশেষ সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহেও বিসিবির সভা বসেছিল। আগামীকাল (বুধবার) আবারও বিসিবির সভা হতে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পাশাপাশি গত আগস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি) ব্যাপক রদবদল ঘটেছে। নতুন সভাপতি পদে ফারুক আহমেদের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিসিবির নতুন পর্ষদ। অনুষ্ঠিত হয়েছে একাধিক বোর্ড সভাও। সবশেষ সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহেও বিসিবির সভা বসেছিল। আগামীকাল (বুধবার) আবারও বিসিবির সভা হতে যাচ্ছে।
ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় মিরপুর শের-ই বাংলার বিসিবি ভবনে হবে এই বৈঠক। ফারুকের দায়িত্ব গ্রহণের পর চতুর্থবারের মতো কাল অনুষ্ঠিত হবে বোর্ড মিটিং। যে মিটিংয়ে আসতে পারে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। মূলত বিসিবির স্ট্যান্ডিং কমিটি, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব ও সাকিব আল হাসানের দেশের বাইরে খেলা নিয়ে এই বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে শান্ত জানিয়েছিলেন দেশের হয়ে আর করতে চান না অধিনায়কত্ব। যে কারণে নতুন অধিনায়ক কে হবেন বা শান্তই নেতৃত্বে থাকবেন কি না সেটা নিয়েও হবে সিদ্ধান্ত। এর আগে বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম শান্তকেই অধিনায়ক রাখার ব্যাপারে তাদের ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে উভয়পক্ষই বসার কথা রয়েছে।
এ ছাড়া সাকিব আল হাসানের দেশের মাটিতে খেলা অনিশ্চিত। মিরপুর টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ফরম্যাটটিকে বিদায় বলার ইচ্ছা দেখালেও শেষ মুহূর্তে দৃশ্যপট বদলে যায়। নিরাপত্তা ইস্যুতে স্থগিত হয়ে যায় তার দেশে ফেরার বিষয়টি। তবে বিদেশের মাটিতে সাকিব খেলতে পারবেন কি না সেই বিষয়েও সিদ্ধান্ত হতে পারে আগামীকালের সভায়। চলমান টেস্ট সিরিজ শেষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উড়াল দেবে বাংলাদেশ দল। সেখানে ৬ নভেম্বর থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। সেই সিরিজে সাকিব থাকবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা চলছে।
এদিকে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিসিবি সভাপতির পদ ছাড়েন নাজমুল হাসান পাপন। যদিও তিনি এখনও বোর্ড পরিচালক পদে আছেন। পরে বিসিবি পরিচালকদের মধ্যে একে একে পদত্যাগ করেছেন জালাল ইউনুস, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি, নাইমুর রহমান দুর্জয়ের মতো প্রভাবশালী পরিচালকরা। এই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয় খালেদ মাহমুদ সুজনের নামটি।
জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববির জায়গায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাউন্সিলর হয়ে বিসিবির পরিচালক হয়েছেন ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম। বাকিদের জায়গায় নতুন করে এখনও কেউ পরিচালক হননি। বিষয়টি জানতে চেয়ে বিসিবিকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী– টানা তিন সভায় অনুপস্থিত থাকলে সংশ্লিষ্ট পরিচালক পদশূন্যের বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এসব শূন্য পদ পূরণে বিসিবির পদক্ষেপ ও প্রতিটি সভায় পরিচালকদের উপস্থিতি জানতে চাওয়া হয়েছে সেই চিঠিতে।
এসএইচ/এএইচএস