সাংবিধানিক পদে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন আ. লীগের

সাংবিধানিক পদে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন আ. লীগের

আওয়ামী লীগ কখনও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান হিসাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিবেচনা করেনি দাবি করে দলটি বলছে, সাংবিধানিক পদগুলোতে সরাসরি দেশবিরোধী এবং রাজনৈতিক দলের শীর্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দেশে পাকিস্তানি ভাবধারা ফিরিয়ে আনার চক্রান্ত।

আওয়ামী লীগ কখনও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান হিসাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিবেচনা করেনি দাবি করে দলটি বলছে, সাংবিধানিক পদগুলোতে সরাসরি দেশবিরোধী এবং রাজনৈতিক দলের শীর্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দেশে পাকিস্তানি ভাবধারা ফিরিয়ে আনার চক্রান্ত।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) ফেসবুকে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে এ দাবি করা হয়।

ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, এই অবৈধ সরকার পাকিস্তানি ভাবধারা ফিরিয়ে এনে দেশ ধ্বংসের মহাপরিকল্পনায় মেতে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল রাজনৈতিক শক্তিকে ঘায়েল ও হেয় করার উদ্দেশ্যে  বিভিন্ন সাংবিধানিক পদে তাদের পছন্দমতো আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার চক্রান্ত শুরু করেছে।

পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আমরা জানতে পেরেছি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ একজনকে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান করার চক্রান্ত চলছে যা বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যদি রাজাকার-আলবদর জয়ী হতো তাহলে এদেশে যে শাসনব্যবস্থা কায়েম হতো বর্তমান এই অবৈধ সরকার দেশে সেই শাসনব্যবস্থাই শুরু করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সেটা মেনে নেবে না।

দলটি দাবি করে, আওয়ামী লীগ কখনও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান হিসেবে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিবেচনা করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সবসময় এই পদগুলোতে নিয়োগদানের পথ প্রশস্থ রেখেছিল। সাংবিধানিক পদগুলোতে দলীয়করণ একটি দেশের সুশাসনের হুমকিস্বরূপ। এই পদগুলোতে যখনই কোনও রাজনৈতিক নেতা আসীন হবে তখনই তারা তাদের পদগুলোকে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল ও ঘায়েল করার কাজে ব্যবহার করবে।

আওয়ামী লীগ দাবি করে, নিরীহ ও নিরপরাধ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা তাদের হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডের শিকার হবে। এবং শুধু এই উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই বর্তমান অবৈধ সরকার দেশের সাংবিধানিক পদগুলোকে কলুষিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে যার ফল কখনোই ভালো হবে না। আজ যে উদ্দেশ্য নিয়ে তারা এই ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে একদিন তারাই সেসব কর্মকাণ্ডের শিকার হবে।

আওয়ামী লীগ আশা প্রকাশ করেছে, পাকিস্তান আমল থেকেই আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন সরকার নানা ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছে কিন্তু কখনও সফল হয়নি। এই অবৈধ সরকারও সফল হবে না। বরং ইতিহাস সাক্ষী যখনই ষড়যন্ত্র হয়েছে আওয়ামী লীগ সেই ষড়যন্ত্র থেকে শক্তি সঞ্চয় করে কয়েকগুণ শক্তি নিয়ে প্রত্যাবর্তন করেছে।

এমএসআই/এমএসএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *