ময়মনসিংহে সাংবাদিক স্বপন ভদ্র (৫৫) খুনের ঘটনায় ঘাতক সাগর মিয়াকে (২০) আটক করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন বলে জানা গেছে।
ময়মনসিংহে সাংবাদিক স্বপন ভদ্র (৫৫) খুনের ঘটনায় ঘাতক সাগর মিয়াকে (২০) আটক করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন বলে জানা গেছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পালিয়ে যাওয়ার সময় পার্শ্ববর্তী গৌরীপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে আটক করে।
ঘাতক সাগর মিয়া শম্ভুগঞ্জ মাঝিপাড়া এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে। তিনি মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহত সাংবাদিক স্বপন ভদ্র কিছুদিন আগে মাদক নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করেন। এতে ক্ষুব্ধ ছিলেন আটক সাগর মিয়া। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ঘটনার জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলমান আছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
এর আগে এদিন দুপুরে শম্ভুগঞ্জ মাঝিপাড়া সাংবাদিক স্বপন ভদ্রকে কুপিয়ে খুন করে সন্ত্রাসী সাগর মিয়াসহ অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।
সাংবাদিক স্বপন ভদ্র জেলার তারাকান্দা উপজেলার কাকনি ইউনিয়নের জগেশ চন্দ্র ভদ্রের ছেলে। তিনি তারাকান্দা প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি। একই সঙ্গে তিনি জাতীয় দৈনিক খবরপত্র ও স্থানীয় দৈনিক আজকের খবর পত্রিকায় সাংবাদিকতা করতেন। পরিবার নিয়ে তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জের মাঝিপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন।
নিহতের ভাতিজা জুয়েল ভদ্র ও রুবেল ভদ্র বলেন, চাচা (সাংবাদিক স্বপন ভদ্র) জমি বেচাকেনার কাজ করতেন। ঘটনার দিন সকালে সাগরসহ তিনজন চাচাকে মাঝিপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নেন। বের হতেই সাগর চাচার হাতে কোপ দেন। এ সময় চাচা জীবন বাঁচাতে দৌড়ে পালাতে গিয়ে পড়ে যান। পরে সাগর তার ঘাড়ে ও হাতে কোপ দেন। এতে চাচা গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর পালানোর চেষ্টা করলে গৌরীপুর থেকে আটক করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে। এই দা দিয়ে সাংবাদিক স্বপন ভদ্রকে ঘাড়ে, পিঠে, মাথায় এবং বাম হাতের কবজি কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করেন। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
মো. আমান উল্লাহ আকন্দ/এএমকে