সরকার প্রবীণদের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

সরকার প্রবীণদের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের উন্নয়নে প্রবীণদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সামগ্রিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের উন্নয়নে প্রবীণদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সামগ্রিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আজ (১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি দেশের প্রবীণ নাগরিকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রবীণ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘মর্যাদাপূর্ণ বার্ধক্য: বিশ্বব্যাপী প্রবীণ পরিচর্যা ও সহায়তা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ’ আমি মনে করি প্রতিপাদ্যটি যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্তের আলোকে সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও ১৯৯১ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নতি, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের ফলে পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যুহার যেমন কমেছে; তেমনি বেড়েছে মানুষের গড় আয়ু। একই কারণে বাংলাদেশেও প্রবীণ ব্যক্তির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

‘বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫(ঘ) অনুচ্ছেদে প্রবীণদের সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের উল্লেখ রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কতগুলো সাংবিধানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে এমন একটি রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই যেখানে দেশের সব নাগরিকের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত হবে; সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের লক্ষ্য সমাজের সব ধরনের বঞ্চনা ও বৈষম্যের অবসান নিশ্চিত করা। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে দেশে এক অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের তরুণ বিপ্লবীরা দেশের মানুষের মনে যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন জাগিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার তা পূরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

প্রধান উপদেষ্টা প্রবীণদের জন্য কল্যাণমুখী কাজে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের প্রবীণ নাগরিকদের মর্যাদাপূর্ণ বার্ধক্য নিশ্চিতকরণে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি শক্তিশালী যত্ন ও পরিচর্যা পরিকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন। এ অভিপ্রায়ে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবো।

তিনি ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস, ২০২৪’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

এমএসআই/এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *