দেড় হাজার বছর আগে পৃথিবী ছিল কুফর, গোমরাহী, মূর্খতা ও অজ্ঞতার অন্ধকারে নিমজ্জিত। এ সময় মক্কার প্রস্তরময় পর্বতমালা থেকে সত্য ও হেদায়াতের চন্দ্র নিয়ে আগমন করেন রাসূল সা.। তার হেদায়েতের নূরে আলোকিত হয়ে উঠে পূর্ব-পশ্চিম উত্তর-দক্ষিণ— দুনিয়ার সকল প্রান্ত। তেইশ বছরের নবুয়তের জীবনে তিনি মানবজাতিকে উন্নতির এমন স্তরে পৌঁছে দেন, যার উদাহরণ উপস্থপনে পুরো জগতের ইতিহাস অক্ষম।
দেড় হাজার বছর আগে পৃথিবী ছিল কুফর, গোমরাহী, মূর্খতা ও অজ্ঞতার অন্ধকারে নিমজ্জিত। এ সময় মক্কার প্রস্তরময় পর্বতমালা থেকে সত্য ও হেদায়াতের চন্দ্র নিয়ে আগমন করেন রাসূল সা.। তার হেদায়েতের নূরে আলোকিত হয়ে উঠে পূর্ব-পশ্চিম উত্তর-দক্ষিণ— দুনিয়ার সকল প্রান্ত। তেইশ বছরের নবুয়তের জীবনে তিনি মানবজাতিকে উন্নতির এমন স্তরে পৌঁছে দেন, যার উদাহরণ উপস্থপনে পুরো জগতের ইতিহাস অক্ষম।
সত্য, হেদায়াত, কল্যাণ ও সফলতার এমন এক মশাল তুলে দিয়েছেন তিনি যার আলোতে মুসলমানরা উন্নতির রাজপথ ধরে অগ্রসর হতে থাকে। শত শত বছর এমন প্রতিপত্তি নিয়ে দুনিয়ার বুকে রাজত্ব করে যে, সমস্ত বিরোধী শক্তিকে আঘাতে আঘাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যেতে হয়। এটা এক অনস্বীকার্য বাস্তবতা।
মুসলমানদের দেড় হাজার বছরের ইতিহাস শ্রেষ্ঠত্ব, শান, শওকত প্রভাব-প্রতিপত্তির। কিন্তু ইতিহাসের পাতা থেকে অনেক দূরে বসবাস করা বর্তমান মুসলমানদের অবস্থা শোচনীয়।
মুসলমানরা শান-শওকত, শ্রেষ্ঠত্ব হারিয়েছে অনেক আগে। পরস্পর ভ্রাতৃত্ব বন্ধন, ভালবাসা, আখলাকও হারানোর পথে। বিধর্মীরা মুসলমানদের এই দুরবস্থা দেখে আনন্দবোধ করে, প্রকাশ্যে উপহাস করে।
বর্তমান অবস্থা অধিকতর শোচনীয় পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে এবং অতীতের তুলনায় ভবিষ্যত আরও বেশী বিপজ্জনক ও অন্ধকার।
মুসলমানদের এই অবনতি ও অধঃপতনের বিভিন্ন কারণ বর্ণনা করা হয় এবং তা দূর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রায় পদক্ষেপ অনুপযোগী ও বিফল প্রমাণিত হয়েছে।
এর মূলে রয়েছে কোরআন, সুন্নাহ শরীয়ত থেকে দূরে সরে আমরা অন্যপন্থায় সমাধান খুঁজছি।
অথচ আমাদের শরীয়ত এমন একটি পূর্ণাঙ্গ খোদায়ী বিধান, যা কিয়ামত পর্যন্ত দ্বীনী ও দুনিয়াবী সফলতার চাবিকাঠি। অতএব আমাদেরকে কোরআনে হাকীম থেকে সমাধান ও উত্তরণের পদ্ধতি অবলম্বন করে বাস্তবে তা প্রয়োগ করতে হবে। কোরআন যেহেতু কিয়ামত পর্যন্ত সময়ের জন্য পরিপূর্ণ জীবন বিধান, তাই কোরআনই আমাদের সবকিছুতে সঠিক পথপ্রদর্শন করতে সক্ষম।