‘দেশকে ভালোবেসে আগলে রাখি’, ‘তুমি কে আমি কে, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট’, ‘আমার বিচার তুমি কর, তোমার বিচার করবে কে’, ‘চাঁদা দিলেও মাইর, নিলেও মাইর’, ‘আইন মানে না যে, দেশদ্রোহী সে’—এমন নানান প্রতিবাদী উক্তি শোভা পাচ্ছে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেয়ালে।
‘দেশকে ভালোবেসে আগলে রাখি’, ‘তুমি কে আমি কে, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট’, ‘আমার বিচার তুমি কর, তোমার বিচার করবে কে’, ‘চাঁদা দিলেও মাইর, নিলেও মাইর’, ‘আইন মানে না যে, দেশদ্রোহী সে’—এমন নানান প্রতিবাদী উক্তি শোভা পাচ্ছে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেয়ালে।
এর আগে, শেরপুর শহরের দেয়ালেগুলোতে ছিল বিভিন্ন পণ্যের বাহারি বিজ্ঞাপন, ছিল দলীয় বিজ্ঞাপনও। তবে এবার এসবের পরিবর্তে দেয়ালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের রং-তুলির ছোঁয়ায় ফুটে উঠেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের স্লোগানসহ দেশের বিভিন্ন চিত্র আর সমাজ সংস্কারমূলক উক্তি।
‘এসো শেরপুর সাজাই’ গ্রুপের উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) শেরপুর জেলা শহরের ডিসি গেট, সরকারি কলেজ, গোপালবাড়ী, খরমপুর, থানা মোড়, খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর, কলেজ মোড়, হসপিটাল রোড, শিল্পকলা অ্যাকাডেমি গেটসহ বিভিন্ন স্থাপনায় শিক্ষার্থীদের এমন চিত্র আঁকতে দেখা গেছে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, শেরপুরে আমরা বিভিন্ন স্থাপনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ নানান উক্তি দিয়ে সাধারণ মানুষকে মেসেজ দিচ্ছি। আমরা চাই, বাংলাদেশ তথা শেরপুরকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে। শেরপুরকে সুন্দরভাবে সাজাতে আমাদের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। শহরটা আমাদের, দায়িত্বটাও আমাদের। আমরা আমাদের ভালো কাজগুলো সব সময় করার চেষ্টা করবো।
একজন দর্শনার্থী বলেন, দেয়ালে দেয়ালে রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের পোস্টার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছিল। এসব পোস্টার, ফেস্টুন অপসারণ করে সৌন্দর্য বাড়াতে দেয়ালে দেয়ালে লিখন চলছে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন উক্তি স্লোগান লিখছে, দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। শেরপুর একটা সুন্দর শহর, আমরা সব সময় এরকম সুন্দর দেখতে চাই।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়্যুথ চেঞ্জ মেকার বাংলাদেশের লিডার মশিউর রহমান তালুকদার বলেন, শেরপুর শহর অপরিচ্ছন্ন ছিল। আমরাসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা মিলে কাজ করছি শহর পরিষ্কার করার জন্য। এখন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেয়ালে দেয়ালে রং-তুলিতে দেয়াল লিখন করছে। সেই সঙ্গে দেয়ালগুলোতে বিভিন্ন চিত্র, উক্তি ও ছবি আঁকা হচ্ছে। এটি পরিবেশের জন্য এবং শহর সৌন্দর্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মো. নাইমুর রহমান তালুকদার/এএমকে