শেবাচিম হাসপাতালে ১২ চিকিৎসক অবাঞ্ছিত ঘোষণা

শেবাচিম হাসপাতালে ১২ চিকিৎসক অবাঞ্ছিত ঘোষণা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বানচাল করতে এবং সাবেক সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের পক্ষে থাকায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের সাবেক ও বর্তমান ১২ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের করা তালিকা অনুসারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ডাক্তার এইচএম সাইফুল ইসলাম।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বানচাল করতে এবং সাবেক সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের পক্ষে থাকায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের সাবেক ও বর্তমান ১২ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের করা তালিকা অনুসারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ডাক্তার এইচএম সাইফুল ইসলাম।

শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে পরিচালকের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন তিনি।

এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা একটি তালিকা আমাকে ধরিয়ে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমার সিদ্ধান্তের দ্বিমত নেই। পরিচালকের পক্ষ থেকে আমার যেটা করণীয় আমি সেটা করেছি। কিন্তু শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছে। পুরো ক্যাম্পাসে তাদের যদি অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে হয় তাহলে অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত লাগবে। আমাকে যে কাগজটি দেওয়া হয়েছে সেটি আমি মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। বাকিটা অধ্যক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

অবাঞ্ছিত ঘোষিত চিকিৎসকরা হলেন, অর্থোপেডিক্স ওয়ার্ডের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সুদীপ হালদার, অর্থোপেডিক্সের আবাসিক সার্জন ডা. মাসরেফুল ইসলাম সৈকত, মেডিকেল অফিসার ডা. শিরিন সাবিহা তন্বী, মেডিসিন ইউনিট-৪ এর ইন্টারনাল মেডিকেল অফিসার ডা. এ.এস.এম সায়েম এবং হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. বাকির হোসেন, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. এস.এম. সরোয়ার। এছাড়া ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হলো মহসীন বিভা, আরিফুজ্জামান ইমন, সাদমান বাকির সাবাব, প্রীতম দেবনাথ, আর্ঘ্য বিশ্বাস ও আসিফুল ইসলাম।

ওই পত্রে উল্লেখ করা হয় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ইন্টার্নশিপ দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হলো।

তবে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতা হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার এইচএম সাইফুল ইসলামও ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। সরকার পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ, হাসপাতালের পরিচালক, অবাঞ্ছিত ঘোষিত ১২ জনসহ শতাধিক চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরপরই পরিচালক ডাক্তার এইচএম সাইফুল ইসলাম ভোল পাল্টাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *