শেখ পরিবারের কে কোথায়?

শেখ পরিবারের কে কোথায়?

প্রথম আলো

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ এবং পরবর্তীকালে সরকার পতনের আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতায় আহত ব্যক্তিদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এখনো যারা হাসপাতালে আছেন, তাদের জন্য বিশেষ ইউনিট তৈরি করে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি সভায় এই বিশেষ ইউনিট করার সিদ্ধান্ত হয়।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান: আহতদের চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকছেই

সংঘাত-সহিংসতায় কত মানুষ আহত হয়েছেন, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের ধারণা, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে পাঁচ শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শুক্রবার পর্যন্ত রাজধানীর সাতটি সরকারি হাসপাতালে ৪৩৯ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। তাঁদের ১০ জনের পা কাটা গেছে, ১ জনের এক হাত কাটা গেছে। অনেকের হাতে, পায়ে বা শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর ক্ষত আছে। ৩২ জনের চোখে আছে ছররা গুলির আঘাত।

মানবজমিন

শেখ পরিবারের কে কোথায়?

অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থানে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় আওয়ামী লীগ সরকারের মসনদ। ৩৬ দিন স্থায়ী গণআন্দোলনের শেষ মুহূর্তগুলো ছিল নাটকীয় আর ঘটনাবহুল। ৫ই আগস্ট দুপুরের পর সরকার পতনের ঘোষণা আসার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সরকারি নিয়ন্ত্রণ ছিল সর্বত্র।

বঙ্গবন্ধু পরিবারের কয়েকজন সদস্যও ৫ই আগস্টের আগেই দেশ ছাড়েন। রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের  বেশির ভাগ সদস্যই এখন আর দেশে নেই। ৫ই আগস্টের আগে-পরে তারা দেশ ছেড়ে যান বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছে।

কালবেলা

আতঙ্কে সেই পুলিশ কর্তারা

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে টানা ১৫ বছর পুলিশ বাহিনীতে মহাক্ষমতায় থাকা অতি-দলবাজ হিসেবে চিহ্নিত কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। চাকরি হারানো ছাড়াও মামলা, গ্রেপ্তার ও জনরোষের ভয়েও রয়েছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার সব পুলিশ সদস্যকে কাজে যোগ দিতে বলা হলেও চিহ্নিত বেশ কিছু কর্মকর্তাকে কর্মস্থলে দেখা যায়নি।

পুলিশ সূত্র বলছে, দলবাজ এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানকে চাকরিচ্যুত (বাধ্যতামূলক অবসর) করা হয়েছে। এ ছাড়া রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন ও রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করা হয়। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু কর্মকর্তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আভাস মিলেছে।

সমকাল

শিগগির জানা যাচ্ছে না নিহতের প্রকৃত সংখ্যা

কোটা সংস্কার থেকে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন। গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর হামলা-সহিংসতা। এর মধ্যেই নিভেছে শত শত প্রাণ। আদতে কত প্রাণক্ষয়? কত আহত, কত পঙ্গু কিংবা কতজনই বা হারিয়েছেন চোখের আলো– এসব নিয়ে এখনও রয়েছে ধোঁয়াশা। কারও কাছে নেই নিহত-আহতের সঠিক পরিসংখ্যান। তবে হতাহত ব্যক্তির পরিচিতিসহ একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এজন্য ১৩ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আন্দোলনে নিহত অনেকের লাশ হাসপাতালে নেওয়া হয়নি। আবার অনেকে হৃদরোগ, সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বলে নথিভুক্ত হয়। কারও লাশ দাফন করা হয় বেওয়ারিশ হিসেবে। প্রতি মাসে গড়ে ৪৫টি নাম-পরিচয়হীন লাশ দাফন করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। তবে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৮৩টি লাশ দাফন করে এ সংগঠন, যাদের শেষ ঠিকানা হয়েছে রায়েরবাজার ও জুরাইন কবরস্থানে। সহিংসতা নিহত এক শিশুসহ ২১ জনের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে কেউ কেউ এখনও ঘরে ফেরেননি। তাদের খোঁজে হাসপাতালেও ঘুরছেন স্বজনরা। আবার মেডিকেল কলেজের মর্গে কিছু লাশ পড়ে আছে। এসব লাশের কোনো দাবিদার পাচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

কালের কণ্ঠ

শিল্প খাতে স্থবিরতায় উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা কাটেনি বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। তাঁরা বলছেন, ছাত্র আন্দোলন ঘিরে কারফিউ জারি ও সহিংস ঘটনার জেরে দেশের অর্থনীতি ‘স্থবির’ হয়ে পড়ে। এ কারণে খাদ্যপণ্য ও কাঁচামালের স্বাভাবিক সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে।

অনেক বড় কোম্পানি মুনাফা বা বিনিয়োগের অর্থ ফেরত নিতে পারছে না। এসব কারণে নতুন শিল্প গড়ে উঠছে কম। কাঁচামাল আনতে না পেরে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো কারখানায় সক্ষমতার চেয়ে কম কার্যক্রম চালাচ্ছে। ফলে সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় খেলাপিতে পরিণত হয়ে পড়ছেন ভালো ঋণগ্রহীতারাও।

বণিক বার্তা

জনবিমুখ অর্থনৈতিক পদক্ষেপের কী হবে?

বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ১৮৮ শতাংশ। ওয়াসার পানির দাম বেড়েছে ২০০ শতাংশের কাছাকাছি। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১৩ বছরে সর্বোচ্চ। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে আনুপাতিক হারে বরাদ্দ কমেছে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয়ের বড় অংশই যায় পেনশনে।

গত দেড় দশকে ঘোষিত বাজেটে ঋণনির্ভরতা দেখা গেছে বেশি। যদিও কোনো অর্থবছরেই বাজেটের পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, আওয়ামী লীগের ২০০৮-০৯ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত বাজেট বাস্তবায়নের গড় হার ছিল ৮৬ শতাংশ। অর্থাৎ, অর্থবছরের শুরুতে যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল, বছর শেষে এর ১৪-১৫ শতাংশ অবাস্তবায়িত থেকে গেছে। পরে এ অবাস্তবায়িত বাজেটের অংশ আরও বড় হয়েছে।

দেশ রূপান্তর

‘অপ্রস্তুত’ বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে আজ

দেড় মাসের বেশি সময়ের অচলাবস্থা কাটিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে আজ রবিবার। প্রাথমিক থেকে শুরু করে সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরোদমে চালুর নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে সরকার পরিবর্তনের পর সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় একধরনের অচলাবস্থা চলছে।

বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু নিয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। পাঠদান শুরু হবে কি না, ছাত্র-শিক্ষক কেউই জানেন না। হল, দপ্তর-দালান আছে, রয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীও, কিন্তু নেই অভিভাবক। হাতে গোনা গুটিকয়েক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বাদে প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র একই। এমন অপ্রস্তুত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

যুগান্তর

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মিলেমিশে লুটপাট

ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মিলেমিশে মহালুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শেষ মুহূর্তে সোলার খাতে ২৭টি বড় বিদ্যুৎ প্রকল্প হাতে নিলেও সেগুলোর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে যেতে পারেনি বিগত সরকার। বর্তমানে এ সংক্রান্ত ফাইলগুলো সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য আছে। একই সঙ্গে অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয়নি আরও ৫টি উচ্চ জ্বালানির রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর প্রকল্প।

গত সাড়ে ১৫ বছরে কোনো দরপত্র ছাড়াই বেসরকারি খাতে শতাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এর বেশির ভাগই কোনো কাজে আসেনি। সরকারি হিসাবে উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট বলা হলেও লোডশেডিং থেকে মুক্তি মেলেনি। এমনকি দেশে বিদ্যুতের প্রকৃত চাহিদা কত, তারও সঠিক কোনো হিসাব নেই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে। সবার জন্য সরবরাহ নিশ্চিত না করে শুধু সংযোগ দিয়েই শতভাগ বিদ্যুতায়নের কৃতিত্ব জাহির করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদ্যুৎ বিভাগ এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ আমলের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে কাজ শুরু করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এছাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা গাছে ‘সর্বহারা’ পতাকা; লুট হওয়া ৭১৫ অস্ত্র উদ্ধার; পরিবহন সেক্টরে দখলের প্রতিযোগিতা; শেখ হাসিনাকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় না দেওয়ার পক্ষে রুপা হক—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *