রাজধানীর কদমতলী থানার বরইতলা রেললাইন এলাকায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ধর্ষণকারী আব্দুল্লাহকে (২৫) গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
রাজধানীর কদমতলী থানার বরইতলা রেললাইন এলাকায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ধর্ষণকারী আব্দুল্লাহকে (২৫) গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে ওই এলাকার পাশের একটি বাজারে তাকে হাতেনাতে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর মা জানান, আমি একটি পলিথিন কারখানায় কাজ করি। আমার বাসা কদমতলীর বরইতলা রেললাইনের পাশে। আমার একমাত্র মেয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রেললাইনের পাশের খেলা করছিল। ওর নানি আমাকে জানায় ওকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে আমি অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাচ্ছিলাম না।
তিনি বলেন, আমরা আশেপাশের তিনটি মসজিদে মাইকিং করি। এর প্রায় ১০ মিনিট পরেই আমার মেয়েকে ওই রেললাইনে আবার পাই। সে সময় তার অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। সে হেঁটে আসতে পারছিল না। ওর কাছে জানতে চাইলে সে একজন দাড়িওয়ালা ব্যক্তির কথা জানায়। এরপর যে বাসায় ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে আমাদের ওই বাসায় নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা ওই বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি এবং রাতে থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই। ওইদিন রাতে আমি কদমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করি। গত শুক্রবার ভোরের দিকে আমার মেয়েকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।
শিশুটির মা বলেন, আমরা ওই লোকের পরিচয় এবং তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সিসিটিভিতে তার ছবি দেখা গিয়েছিল। আজ সোমবার বিকেলে আমাদের এলাকার অনেক মানুষ তাকে পাশের একটি বাজারে দেখে চিনতে পারে। তাকে স্থানীয়রা হাতেনাতে ধরলে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে। জনতা তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। পুলিশ তাকে আটক করে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এসেছে। বর্তমানে এসে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমার শিশু মেয়ের সাথে এ ধরনের জুলুম করায় উপযুক্ত সাজা হিসেবে ওই ব্যক্তির ফাঁসি চাই।
এ বিষয়ে কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অশোক সরকার বলেন, গত বৃহস্পতিবার কদমতলী এলাকায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার শিশুটির মা বাদী হয়ে কদমতলী থানা একটি মামলা (মামলা নং-৮) দায়ের করেছেন। শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেলের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ধর্ষণকারীকে স্থানীয় জনতা গণপিটুনি দিয়ে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। বর্তমানে তার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলছে।
এসএএ/কেএ