শিবির নেতা হত্যায় অতিরিক্ত ডিআইজিসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

শিবির নেতা হত্যায় অতিরিক্ত ডিআইজিসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মেসে অভিযান চালিয়ে শিবির নেতাসহ সাতজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার ও বর্তমান অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর ও তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ও সাবেক পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানসহ ২৮ জনকে আসামি করে সাতক্ষীরা আদালতে মামলা হয়েছে।

মেসে অভিযান চালিয়ে শিবির নেতাসহ সাতজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার ও বর্তমান অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর ও তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ও সাবেক পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানসহ ২৮ জনকে আসামি করে সাতক্ষীরা আদালতে মামলা হয়েছে।

সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর গ্রামের ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি আমিনুর রহমানসহ সাতজনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে উক্ত মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) আমিনুর রহমানের ভাই মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতক্ষীরা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়ালের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়াল অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা রেকর্ডের জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম বাবলা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন—তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইনামুল হক, পৌর ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনারুল ইসলাম রনি, যুবলীগ নেতা এসএম ইউসুফ সুলতান, ডিবির আলি হোসেন, কামালনগর গ্রামের মো. বাবর আলী, এসআই আবুল কাশেম, এসআই হুমায়ূন কবীর, এসআই বিধান কুমার বিশ্বাস, এসআই ইয়াছিন আলী, এসআই লিটন বিশ্বাস, এএসআই জাহাঙ্গীর আলম, কনস্টেবল বেলায়েত হোসেন, জিল্লুর রহমান, বাবুল হোসেন, ফারুক হোসেন, শেখ আলম, আব্দুল হান্নান, এসআই হান্নান শরীফ, এসআই আবুজার গিফারী, হাবিবুর রহমান, কনস্টেবল রাসেল মাহমুদ, ওমর ফারুক, আব্দুর রহমান, আবিদুর রহমান, আসাদুজ্জামান ও বদরুল আলম।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল শহরের কামালনগরে একটি মেসে পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইনামুল হকের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে ছাত্র শিবিরের শহর সেক্রেটারি আমিনুর রহমানসহ মেসে থাকা আরও সাতজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ কাছ থেকে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করেন।

অভিযোগে মামলার বাদী দাবি করেছেন, রাজনৈতিক কারণে সে সময় মামলা করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিবেশ অনুকূলে আসায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে তিনি আদালতে এই মামলা দায়ের করেছেন।

প্রসঙ্গত, চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১৬ সালের ২২ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

ইব্রাহিম খলিল/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *