রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেণুকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা পিছিয়ে দিয়েছেন আদালত।
রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেণুকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা পিছিয়ে দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের আদালতে এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিল। তবে এদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত রায়ের জন্য আগামী ৯ অক্টোবর নতুন দিন ধার্য করেছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কাশেম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হক। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই জনের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করেন। এই দুই শিশুর মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৭ এ বিচারাধীন রয়েছে।
২০২১ সালের ১ এপ্রিল ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা ইমরুজ কনিকা।
আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি ওরফে শহিদুল ইসলাম, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন ও মহিউদ্দিন।
২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজের সন্তানের ভর্তির ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন তাসলিমা বেগম রেণু। এ সময় ছেলেধরা সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। ওইদিন সকাল পৌনে ৯টার দিকে উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজার সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই রাতেই বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত ৫শ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন নিহত রেণুর ভাগিনা সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।
মামলাটিতে আদালত চার্জশিটভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।
এনআর/এমএসএ