টানা বর্ষণ আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের তিনটি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চলের অন্তত দেড়শ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঢলের পানিতে সড়ক ভেঙে ঢাকার সঙ্গে শেরপুর হয়ে নালিতাবাড়ীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
টানা বর্ষণ আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের তিনটি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চলের অন্তত দেড়শ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঢলের পানিতে সড়ক ভেঙে ঢাকার সঙ্গে শেরপুর হয়ে নালিতাবাড়ীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীর ওপর দিয়ে যাওয়া মহারশি ও ভোগাই নদীর অন্তত ১০ জায়গায় বাঁধ ভেঙে গেছে। প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। তলিয়ে গেছে গ্রামের রাস্তাঘাট ও আবাদি জমি। সবমিলিয়ে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
এদিকে বরাবরের মতো বন্যাকবলিত মানুষের দাঁড়াচ্ছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। শেরপুরে শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতেই আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের জরুরি ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শায়খ আহমাদুল্লাহ তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতি চরম ভয়াবহ। আজ রাতেই যাচ্ছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের জরুরি ত্রাণ সামগ্রী। এদিকে লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে গত কয়েকদিন যাবৎ ত্রাণ বিতরণ চলমান আছে। আর ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে চলছে পুনর্বাসনের কাজ।’
এর আগে গত আগস্টে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের ভয়াবহ বন্যায় অসহায় মানুষকে উদ্ধার ও বন্যাকবলিতদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করে ব্যাপক প্রশংসা পায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
আরএআর