বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় পৃথক অভিযানে রাজবাড়ীতে দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় পৃথক অভিযানে রাজবাড়ীতে দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে পৃথক দুইটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রাজবাড়ী আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা হলেন- গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম খান (৬২) ও বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান মোল্যা (৭০)।
রোববার (২৭ অক্টোবর) দিনগত রাত ২টার দিকে রাজবাড়ী শহরের বেড়াডাঙ্গা এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হান্নান মোল্যাকে ও সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে গোয়ালন্দ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুমড়াকান্দি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে শহিদুল খানকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী রাজিব মোল্লা বাদী হয়ে গত ৩০ আগস্ট রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা করেন। তাতে ১৭০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা রাজবাড়ী শহরের বড়পুল মোড়ে অবস্থান নিলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের আক্রমণ করা হয়। সেখানে দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়, বোমা নিক্ষেপ এবং গুলি বর্ষণ করা হয়। হামলায় সোনিয়া আক্তার স্মৃতি, নুরুন্নবী, আশিক ইসলাম অভি, রাজিব মোল্লা, মেহেরাব, আলতাফ মাহমুদ সাগর, উৎস সরকার ও রিয়াজসহ অনেকে আহত হন। ওই মামলার তদন্তে শহিদুল ইসলাম খানকে অভিযুক্ত পাওয়া যায়। তাকে রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হান্নান মোল্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এফআরএস