মেয়র এবং পরে কাউন্সিলরদের অপসারণ করে।
ঝিনাইদহে অপসারণকৃত পৌর কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে ঝিনাইদহের ৬টি পৌরসভার কাউন্সিলর, পৌরসভার বাসিন্দাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়।
পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড বাসিন্দা মালেকা ইসলাম আয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাড়ির সামনে ময়লার স্তুপ, ড্রেনে ময়লার কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ। বাড়ির সামনে পানির কারণে চলাচল করতে পারছি না। আগে পৌরসভায় গেলে কাউন্সিলরদের কাছে বললে সমাধান করে দিত। এখন পৌরসভায় কাউন্সিলররা নেই, কার কাছে অভিযোগ দেব। কাউন্সিলররা পৌরসভায় নিয়মিত বসে থাকলে আমাদের ভোগান্তি হতো না।
ঝিনাইদহ পৌরসভার বাসিন্দা মালেকা ঢাকা পোস্টকে বলেন, এলাকার কেউ জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ নিতে পৌরসভায় গেলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এলাকার বখাটে ছেলেরা অত্যাচার করে, বিভিন্ন জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়। কারো কাছে বলতে পারি না। বিভিন্ন ধরনের অসুবিধায় আছি। কাউন্সিলরদের পুনর্বহাল না করলে আমাদের এলাকায় কোনো সমাধান সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মধু বলেন, পৌরসভার ভোটারদের ভোটে আমরা নির্বাচিত হয়েছি। জনগণের সেবা দেওয়ার জন্য তারা আমাদের নির্বাচিত করেছেন। কিন্তু বর্তমানে পৌরসভার বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেবা নিতে এসে। জন্মনিবন্ধন থেকে শুরু করে সকল সেবা পেতে দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। আমরা দেশ সংস্কারের পক্ষে। তাই বলে আমাদেরকে বাদ দিয়ে সংস্কার কিভাবে সম্ভব। পৌরসভার নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা কোনো দলের রাজনীতি করে কাউন্সিলর হইনি, আমরা সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। আমাদের কেন অপসারণ করা হবে? অবিলম্বে দায়িত্বে ফিরে আবার দেশ গঠন ও মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখতে চাই।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গত ২৪ সেপ্টম্বর দেশের সব পৌরসভার মেয়র এবং পরে কাউন্সিলরদের অপসারণ করে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন/এনএফ