মধ্যবিত্ত যেন চার চাকা গাড়িতে চলতে পারেন, সে জন্যই ন্যানো বাজারে আনে টাটা। সেই গাড়িটির প্রথম ডিজাইন ছিল খুবই অদ্ভুত।
মধ্যবিত্ত যেন চার চাকা গাড়িতে চলতে পারেন, সে জন্যই ন্যানো বাজারে আনে টাটা। সেই গাড়িটির প্রথম ডিজাইন ছিল খুবই অদ্ভুত।
রতন টাটা বলেছিলেন, কীভাবে ওই গাড়ির কথা তার মাথায় এলো।
এক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, রাস্তায় সাধারণ মানুষকে দু’চাকা গাড়িতে গাদাগাদি করে যেতে দেখেই তার মনে এমন একটা গাড়ি তৈরির কথা এসেছিল। স্কুটারে যেভাবে গোটা পরিবারের সবাই মিলে যেতেন, তা দেখেই তার মনে হয়েছিল, এদের সাধ্যের মধ্যে দাম থাকবে, এমন একটি গাড়ি বানানো উচিত।
ন্যানো গাড়ির কারখানা সিঙ্গুরে তৈরির পরিকল্পনা যে সময়ে তার মাথায় এসেছিল, তার বহু আগেই নাকি তিনি এই গাড়ির ডিজাইন করতে শুরু করেছিলেন।
তিনি জানিয়েছিলেন, পড়াশোনার ফাঁকে সময় পেলেই আঁকতে বসে যেতেন। সেই সময়ে তার মাথায় একটা ভাবনাই আসতো— দুই চাকার যাত্রীদের কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যায়।
এর পরে প্রাথমিক নকশাটা দুচাকার উপরে রেখেই নাকি করতে শুরু করেন। জুড়ে পাশে আরও দুটো চাকা। হয়ে যায় চার চাকার ছোট্ট গাড়ি। তার উপরে একে ফেলেন একটি কাঠামো।
রতন টাটা জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক কাঠামোয় কোনও জানলা, দরজা ছিল না। সে সব আঁকেননি তিনি। শুধু কাঠামোটিই ডিজাইন করেন। পরে নিজের ডিজাইনটিই ভালো লেগে যায়। তিনি ঠিক করেন, এই গাড়িটি বানাবেন। এর পর সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই ন্যানোর ডিজাইন করেন তিনি। তবে তার আগে নিজের প্রাথমিক নকশার অনেকটাই অদল বদল করেছিলেন।
এমএসএ