নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার অনেকটা আসে মেরিটাইম সেক্টর থেকে। মেরিন ক্যাডেট ও রেটিংসরা দেশি-বিদেশি জাহাজে চাকরি করে বিপুলসংখ্যাক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। মেরিন ক্যাডেটরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে, যা আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার অনেকটা আসে মেরিটাইম সেক্টর থেকে। মেরিন ক্যাডেট ও রেটিংসরা দেশি-বিদেশি জাহাজে চাকরি করে বিপুলসংখ্যাক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। মেরিন ক্যাডেটরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে, যা আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি পরিদর্শন ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে মেরিনারদের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আমি মন্ত্রণালয়ের সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি কীভাবে সব সমস্যার সমাধান করা যায়। আমরা ক্যাডেটদের দেশের প্রতি অনাগ্রহের কারণ খুঁজে তাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করব।’
তিনি বলেন, এটি হলো মাদার অব মেরিন একাডেমি। তাই এটার স্ট্যান্ডার্ডের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবুও এখানে অনেক বিষয় দেখা দিয়েছে সেসব বিষয় নিয়ে এবং কীভাবে এটার গুণগতমান বাড়ানো যায় সে বিষয়ে মেরিন একাডেমির সাথে আবারও বসবো। মেরিটাইম সেক্টর সম্ভাবনার এক বিরাট ক্ষেত্র। দেশে দক্ষ মেরিনাররা কেন আসছেন না, কি সমস্যা তৈরি হয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
স্কিল মেরিনারকে দেশে রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি স্কিল আশা করি আমাদের ভালো স্কিলের জন্য ভালো ইনভেস্ট করতে করে। দেশপ্রেমের পাশাপাশি মেরিনারদের ভালো ইনভেস্টমেন্টও প্রয়োজন। তাই আমি মেরিন একাডেমির এসব বিষয় নিয়ে কাজ করবো, চেষ্টা করবো আমার সাধ্যমতো। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি ক্যাডেটদের একাডেমিক লেখাপড়ার পাশাপাশি কো-কারিকুলাম সহপাঠ্যক্রমিক শিক্ষায় তথা শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করতে হবে।’
সি-ফেয়ারার্স মেমোরিয়ালের পাশে বৃক্ষরোপণ শেষে তিনি মেরিন একাডেমির বাস্তবায়নরত ‘অবকাঠামোগত পুনর্গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি আধুনিকীকরণ’ প্রকল্পের কাজ, লাইব্রেরি ও সিমুলেটর পরিদর্শন করেন। পরে অফিসার্স ক্লাবে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন উপদেষ্টা। এতে একাডেমির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট মো. ইবনে কায়সার তৈমুর একাডেমির সার্বিক কার্যক্রম, সমস্যা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নৌবাণিজ্য দপ্তরের প্রধানসহ একাডেমির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএন/জেডএস