মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে না ফেরার দেশে গুলিবিদ্ধ বাবলু

মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে না ফেরার দেশে গুলিবিদ্ধ বাবলু

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন বাবলু মৃধা (৪৭) অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন বাবলু মৃধা (৪৭) অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান তিনি। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

জানা গেছে, ব্যবসা ও রাজমিস্ত্রির পাশাপাশি বাবলু মৃধা যুবদল কর্মী ছিলেন।

নিহত বাবলু মৃধার ছোট ভাই রুবেল বলেন, গত ১৯ জুলাই আমার ভাই দনিয়া কলেজের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন করে একটি মিছিল বের করে। সেখানে তিনি গুলিতে গুরুতর আহত হন। পরে আমরা জানতে পেরে ঢাকা মেডিকেলে আছি। এখানে তিনি বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য আগস্ট মাসের ২২ তারিখে তাকে সিএমএইচ-এ নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিএমএইচ-এ আমার বড় ভাই মারা যান।

তিনি আরো বলেন, আমার বড় ভাই মাঝে মধ্যে কাপড় বিক্রি করতেন, আবার রাজমিস্ত্রির কাজও করতেন। তার বড় ছেলে বর্ণমালা স্কুলে লেখাপড়া করে। এখন আমার বড় ভাইয়ের পরিবারের কী হবে সেই চিন্তায় আছি। ময়নাতদন্ত শেষে আজ শহীদ মিনারে তার জানাজা হবে। পরে সেখান থেকে মরদেহ গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী দশমিনা থানা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।

এদিকে কদমতলী থানার ৬১ নং ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ বলেন, ১৯ তারিখে আমার নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। সেই মিছিলে বাবুল ভাইয়ের পেটে গুলি লাগে। সেখান থেকে তাকে আমরা ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। বেশ কিছুদিন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন থাকার পর সিএমএইচ-এ মারা যান।

তিনি আরো বলেন, বাবুল ভাই ৬১ নাম্বার ওয়ার্ড যুবদলের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন।

যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বলেন, বাবলু মৃধা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিএমএইচ-এ ভর্তি ছিলেন। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মারা গেছেন। আমরা তার সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠাই। পরে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

এসএএ/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *