নোয়াখালীর মুছাপুরে স্লুইসগেটের রেগুলেটর পুনঃস্থাপনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২টায় নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ এবং ওষুধসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
নোয়াখালীর মুছাপুরে স্লুইসগেটের রেগুলেটর পুনঃস্থাপনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২টায় নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ এবং ওষুধসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জেনেছি কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটর সম্পূর্ণ ধসে গেছে। এটি পুনঃস্থাপনে কীভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা করব। জনগণকে বলব, আপনারাও আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা করুন। সবার প্রচেষ্টায় নিশ্চয়ই ভালো কিছু হবে।
এ ছাড়াও বন্যার্ত ২৫০ পরিবারের হাতে ত্রাণ তুলে দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সরকার আপনাদের পাশে আছে।
সবাই যাতে ত্রাণ পায় সেই ব্যবস্থা করছে সরকার। সবার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতেও কাজ চলছে। শুধু বন্যার সময় নয়, বন্যা-পরবর্তী খাদ্য-সংকট মোকাবিলায় পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, সেনাবাহিনীর ১৬ ফিল্ড আর্টিলারির লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফ উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখারসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ভারতের উজানের ঢলে ফেনী মুহুরী নদীর পানি ও ভারী বর্ষণে কোম্পানীগঞ্জের পানি মুছাপুর স্লুইসগেটের রেগুলেটরের ২৩টি গেট দিয়ে বঙ্গোপসাগরে যায়। সোমবার সকালে পানির তীব্র চাপে ভেঙে যায় রেগুলেটরটি। এরপর ব্রিজসহ পানিতে তলিয়ে যায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্যার নোয়াখালীতে সহায়তা কার্যক্রম করেছেন। তখন আমরা জানিয়েছি। স্যার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। আমিও পরবর্তীতে সরজমিনে পরিদর্শন করেছি। বিস্তারিত রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বলেছি। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সচেষ্ট আছি।
হাসিব আল আমিন/এএমকে