মানিকগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র তসলিম হৃদয়ের কান ধরে ওঠবস করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার গেটের সামনে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে কান ধরে ওঠবস করতে বাধ্য করেন বলে জানা গেছে।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র তসলিম হৃদয়ের কান ধরে ওঠবস করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার গেটের সামনে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে কান ধরে ওঠবস করতে বাধ্য করেন বলে জানা গেছে।
তসলিম হৃদয় মানিকগঞ্জ পৌরসভার লওখন্ডা এলাকার মো. লাল চাঁন মিয়ার ছেলে। তিনি পৌরসভার ৩নং ওয়াডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র।
ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, জেলা ক্রীড়া সংস্থার চত্বরে পৌরসভার কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. তসলিম হৃদয়কে কান ধরে ওঠবস করানো হচ্ছে। এ সময় পাশ থেকে কয়েকজনকে বলতে শোনা যায়- ‘কান ধর, কান ধরে বসে থাক। ওই কেউ ওরে আর মারিস না।’ কান ধরে ওঠবসের সময় তসলিম উপস্থিত জনতার কাছে হাত জোড় করে ক্ষমাও চান। এরপর পাশে থেকে একজন তসলিমের গালে থাপ্পড় মারেন।
কান ধরে ওঠবস করানোর আগে তসলিম হৃদয়কে মারধর করা হয়। এতে তার পরনে থাকা শার্টটি ছিঁড়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, হঠাৎ করেই আলাদিনের চেরাগ পেয়েছিল তসলিম। অথচ কয়েক বছর আগেও তার তেমন কিছুই ছিল না। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের ১৬ বছরে বেশ কয়েকটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছে। এক সময়ের টিনের বাড়ি এখন বিল্ডিং হয়েছে। শহরেও বহুতল বিল্ডিং করছেন। এখন দামি গাড়িতে করে চলাফেরা করেন। তার এত সম্পদ আর টাকার উৎস কোথায়? সৎভাবে তো এত টাকা আর সম্পদের মালিক হওয়া যায় না।
এ বিষয়ে জানতে পৌরসভার কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. তসলিম হৃদয়ের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেন, পৌরসভার কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. তসলিম হৃদয়ের ঘটনাটি আমার জানা নেই। তাকে থানা পুলিশেও সোপর্দ করা হয়নি।
সোহেল হোসেন/আরএআর