ওষুধ নিত্যপ্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হওয়া সত্ত্বেও কয়েক মাস পরপর এর দাম বৃদ্ধিতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে জনসাধারণ। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দেশীয় কোম্পানিগুলো ওষুধের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধিতে উদ্বেগ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
ওষুধ নিত্যপ্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হওয়া সত্ত্বেও কয়েক মাস পরপর এর দাম বৃদ্ধিতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে জনসাধারণ। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দেশীয় কোম্পানিগুলো ওষুধের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধিতে উদ্বেগ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় নজরদারিসহ রাষ্ট্রকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলে কমিশন মনে করে।
ওষুধের অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধি-জনগণ ভোগান্তির খবরে স্বপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমোটো) গ্রহণ করেছে জাতীয় মানবাধিকারে কমিশন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুয়োমোটোতে উল্লেখ রয়েছে গত কয়েকদিনে অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক ট্যাবলেট, ভিটামিন, গ্যাস্ট্রিক ও ডায়াবেটিকসের ওষুধসহ বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশনের দাম বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো।
অপরদিকে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভোক্তা অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের অভিযানে ভাটা পড়েছে। এই সুযোগে ওষুধের দাম বেড়েছে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। রাজধানীর গোপীবাগ, শাহবাগ, মিটফোর্ড ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার কয়েকটি ফার্মেসিতে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ওষুধের দাম বাড়ার বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন ক্রেতা-বিক্রেতা।
জানা যায়, দেশে উৎপাদিত মোট ওষুধের মাত্র ৩ শতাংশের দাম নির্ধারণ করতে পারে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। বাকি ৯৭ ভাগের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইচ্ছে মতো ওষুধ কোম্পানিগুলো মুনাফা করছে। এক্ষেত্রে বরাবরই বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ওষুধের কাঁচামাল, মার্কেটিং খরচ ও ডলারের দাম বাড়ার বিষয়টি সামনে আনা হয়। ওষুধের দাম বৃদ্ধি রোধে গত ২৯ এপ্রিল উচ্চ-আদালত থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয় কিন্তু সেটিও কার্যকর হচ্ছে না। ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ অবস্থায় গৃহীত সুয়োমোটোতে জীবনরক্ষাকারী সব ওষুধের তালিকা করাসহ সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রেখে ওষুধের দাম নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বলা হয়েছে। আদেশের অনুলিপি জ্ঞাতার্থে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২১ নভেম্বর প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
জেইউ/এসএসএইচ