বরিশালের সাগরদি ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেনের অপসারণ দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে শত শত শিক্ষার্থী সড়কে নেমে কর্মসূচি পালন করেন।
বরিশালের সাগরদি ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেনের অপসারণ দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে শত শত শিক্ষার্থী সড়কে নেমে কর্মসূচি পালন করেন।
মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক ফারুক বিন ওয়াহিদ বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়ে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন মাদরাসার শিক্ষক সংকট নিরসন করতে হবে। তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগও করেছে। শিক্ষক সংকট দূরীকরণের বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। আমরা চাইলেই শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারব না। তারপরও নতুন ৯ পদে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। তারা এসে যোগ দিলেই সংকট দূর হবে। আর্থিক অনিয়মের যে অভিযোগ তুলেছে তার সত্যতা আমরা জানি না। কারণে মাদরাসার নিরীক্ষা কমিটি আছে। বিগত দিনে এমন কোনো প্রমাণ নিরীক্ষা কমিটি পায়নি।
অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করলে সেনাবাহিনী এসে তাদের মাদরাসায় ফিরতে বলেন। সবগুলো গেইট বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের মাদরাসার মধ্যে রাখা হয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী তানভীর বলেন, প্রিন্সিপাল স্যার আমাদের অধিকার হরণ করেছে। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন না। আমরা রাস্তায় দায়িত্ব পালন করতে যাব। কিন্তু তিনি আমাদের কোনো আইডি কার্ড দেননি। তাছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আছে। তা আমরা মিডিয়ায় বলতে চাই না। আমরা চাই তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব ছেড়ে নিজের পদে ফিরে যাবেন।
এই শিক্ষার্থী বলেন, সেনাবাহিনীর অনুরোধে ১২টায় আমরা সড়ক ছেড়েছি। প্রিন্সিপাল স্যারকে ২টা পর্যন্ত সময় দিয়েছি। তিনি পদত্যাগ না করলে আবার কর্মসূচি শুরু করব।
অভিযুক্ত অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করায় আমি মাদরাসা থেকেও বেরিয়ে এসেছি। মাদরাসার সভাপতি জেলা প্রশাসক। আমি তার কাছে যাচ্ছি। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমি সেটাই মেনে নেব।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা বিনা কারণে এসব করছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর