এ যেন দীর্ঘদিনের বঞ্চিত কোনো অঞ্চলে আধুনিকতা দেয়ার চেষ্টা। ভারত এবং বাংলাদেশ সিরিজে অন্তত দুবার এমন ভেন্যুতে খেলতে যাবে বাংলাদেশ, যেখানে ক্রিকেটের আলো পড়ে না দীর্ঘদিন ধরে। চাইলে কেউ বাড়িয়ে পরিত্যক্ত স্টেডিয়ামও বলতে পারেন ম্যাচের সেই ভেন্যুগুলোকে। কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া কানপুর টেস্টের অবস্থাটাও তেমনই।
এ যেন দীর্ঘদিনের বঞ্চিত কোনো অঞ্চলে আধুনিকতা দেয়ার চেষ্টা। ভারত এবং বাংলাদেশ সিরিজে অন্তত দুবার এমন ভেন্যুতে খেলতে যাবে বাংলাদেশ, যেখানে ক্রিকেটের আলো পড়ে না দীর্ঘদিন ধরে। চাইলে কেউ বাড়িয়ে পরিত্যক্ত স্টেডিয়ামও বলতে পারেন ম্যাচের সেই ভেন্যুগুলোকে। কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া কানপুর টেস্টের অবস্থাটাও তেমনই।
কানপুরে শেষ ম্যাচ হয়েছে ২০২১ সালে। সেই ম্যাচটাও যে পুরোপুরি হয়েছে তা বলা চলে না। বায়ু দূষণের কারণে দেখা দিয়েছিল আলোকস্বল্পতা। এমনকি বাংলাদেশের ম্যাচের দুদিন আগেও কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের দু-একজন বলছিলেন, আবারও লজ্জার মুখে পড়তে হতে পারে তাদের। আর গ্যালারি নিয়েও আছে প্রশ্ন।
ম্যাচ শুরুর দিনদুয়েক আগেই কানপুরের এই স্টেডিয়ামকে নিয়ে দেখা দিয়েছে নতুন শঙ্কা। ভারতের উত্তর প্রদেশের পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (পিডব্লিউডি) কানপুর স্টেডিয়ামের গ্যালারির একটি স্ট্যান্ডকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা দিয়েছে। গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের বেলকনি ‘সি’ নিয়ে এই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কর্মকর্তাদের ধারণা, গ্যালারির ওই অংশে লোক সমাগম হলে পুরো জায়গাটি ধসে পড়তে পারে।
এমনকি বৃষ্টি শঙ্কা ও বৈরী আবহাওয়ার মাঝে গ্যালারির ওই অংশ বরাবর থাকা ফ্লাডলাইন ব্যবহার করা যাবে কি না তা নিয়েও তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে উত্তর প্রদেশের রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, ‘ঋষভ পান্ত ছক্কা হাঁকানোর পর যদি ৫০ জন দর্শকও আনন্দ প্রকাশ করতে শুরু করে, তবে এই অংশটি ভেঙে পড়তে পারে।’
উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনও এই মাঠ নিয়ে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি সাম্প্রতিক সময়গুলো। রাজ্যের ঘরের মাঠ লক্ষ্ণৌতে, ৫০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার একানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। যেটি উত্তর প্রদেশ ও আইপিএল দল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টের হোম গ্রাউন্ড। এমনকি বিশ্বকাপের ম্যাচও আয়োজন করা হয়েছিল এখানে। স্বাভাবিকভাবেই ৭৯ বছরের পুরাতন গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের দিন পার হয় ‘পরিত্যক্ত’ স্টেডিয়াম হিসেবে।
একই কথা অবশ্য উঠতে পারে প্রথম টি-টোয়েন্টির ভেন্যু গোয়ালিয়রের স্টেডিয়ামকে নিয়ে। কারণ এই মাঠেও দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ছিল না কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। কিন্তু এখানে পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। মধ্যপ্রদেশের এই স্টেডিয়াম নতুন করে সংস্কার আর তৈরি করা হয়েছে ক্রিকেটকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে। ২০০ কোটি রুপিতে ৩০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার উপযোগী করা হয়েছে। বিশাল কর্যযজ্ঞ শেষে বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়েই নবযাত্রা হবে এই স্টেডিয়ামে।
এই ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল ধর্মশালা স্টেডিয়ামে। তবে হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন বর্তমানে সেখানে চালাচ্ছে সংস্কারকাজ। যে কারণে ম্যাচ সরিয়ে নেয়া হয় মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে। বাংলাদেশের ম্যাচের সুবাদেই প্রায় দেড় দশক পর জ্বলবে এই স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট।
২০১০ সালে পুরুষ ক্রিকেটে প্রথমবার ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই ম্যাচটাই মাধবরাও সিন্ধিতে শেষ ম্যাচ। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর হয়নি এখানে। মধ্যপ্রদেশ রাজ্য দল ব্যবহার করে ইন্দোর ক্রিকেট স্টেডিয়াম। চলতি বছর জানুয়ারিতেই আফগানিস্তান সিরিজে এই মাঠে খেলেছিল ভারত।
জেএ