ব্যাংকে টাকা না থাকা সত্ত্বেও চেক দিয়ে প্রতারণার দায়ে মো. মন্টু (৩৭) নামে এক ব্যক্তিকে আড়াই কোটি টাকা জরিমানা ও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ফেরদৌসি বেগম এ আদেশ দেন।
ব্যাংকে টাকা না থাকা সত্ত্বেও চেক দিয়ে প্রতারণার দায়ে মো. মন্টু (৩৭) নামে এক ব্যক্তিকে আড়াই কোটি টাকা জরিমানা ও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ফেরদৌসি বেগম এ আদেশ দেন।
আদালতের ব্রেঞ্চ সহকারী আল হেলাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত মো. মন্টু বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার কিসমত জামুয়া গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকার চকবাজারের চক মোগলটুলী ১৩০/১ বিরেন এম আর জে কর্পোরেশন এলাকার বসবাস করছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি মন্টু আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী মানিক সরদারের সঙ্গে আসামি মন্টুর ব্যবসায়িক সূত্রে পরিচয় হয়। সেই সুবাদে মন্টু বাদীর কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা ধার নেন। পরে মন্টু বাদী মানিক সরদারকে নগদ টাকা না দিয়ে পূবালী ব্যাংকের আড়াই কোটি টাকার একটি চেক দেন। পরে টাকা উত্তোলনের জন্য মানিক ওই চেক ব্যাংকে জমা দিলে ব্যাংক কর্তপক্ষ জানায় তার অ্যাকাউন্টে টাকা নেই।
এ ঘটনায় মানিক সরদার ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামি মন্টুকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও আড়াই কোটি টাকা জরিমানার আদেশ দেন। মামলার বাদী মোহাম্মদ মানিক সরদার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার গোসাইবাগ এলাকার আব্দুল মালেক সরদারের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মানিক সরদারের আইনজীবী মো. নূর হোসাইন জানান, মামলার রায়ে আসামি মন্টুকে এক বছরের সাশ্রম কারাদণ্ড ও আড়াই কোটি টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ রায়ে আমরা খুশি। তবে রায়ের সময় আসামি মন্টু আদালতে হাজির ছিলেন না।
ব.ম শামীম/আরএআর