কলকাতায় আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গত ১৪ আগস্ট রাত দখলের প্রতিবাদে শঙ্খ বাজানোর একটি ভিডিও শেয়ার করে তোপের মুখে পড়েন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এই ঘটনার প্রায় দুই মাস পার হয়ে গেলেও এখনও অভিনেত্রীর ওপর রাগ কমেনি সাধারণ মানুষের।
কলকাতায় আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গত ১৪ আগস্ট রাত দখলের প্রতিবাদে শঙ্খ বাজানোর একটি ভিডিও শেয়ার করে তোপের মুখে পড়েন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এই ঘটনার প্রায় দুই মাস পার হয়ে গেলেও এখনও অভিনেত্রীর ওপর রাগ কমেনি সাধারণ মানুষের।
সম্প্রতি পুজার ফটোশ্যুটের একটি ভিডিও শেয়ার করেন ঋতুপর্ণা। যেখানে কখনো শাড়ি তো কখনো কো-অর্ড ড্রেসে সেজেছিলেন তিনি। সেই ভিডিও শেয়ার করতেই আবারও কটাক্ষের শিকার হলেন নায়িকা।
একদল যেমন ঋতুপর্ণার সৌন্দর্যের তারিফ করেছে, অপরদল আবার আরজি কর প্রসঙ্গ টেনে এনে সমালোচনা করেছেন।
একজন মন্তব্য করেছেন, ‘তোমাকে দেখে মনেই হয় না বয়স বাড়ছে’!আরেকজন লেখেন, ‘ন্যাকামো…আনলিমিটেড’। দ্বিতীয়জনের মন্তব্য, ‘শঙ্খদিদি’। আবার কেউ কেউ অপমান করে লিখেছেন, ‘বুড়ির লজ্জা নেই’।
মূলত আরজি কর কাণ্ডেই ঋতুপর্ণাকে নিয়ে কটাক্ষ, সমালোচনা থামছেই না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অভিনেত্রীকে নানাভাবে আক্রমণ করছেন নেটিজেনরা।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই শ্যামবাজারে হাজির হয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। আরজি কর নির্যাতিতার হয়ে বিচার চাইতে পথে নেমেছিলেন তিনি। তবে সেখানে অভিনেত্রীকে দেখেই ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রী দাবি করেন, তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণও করা হয়।
এরপর সংবাদমাধ্যমকে ঋতুপর্ণা জানান, ‘আমাকে গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়েছে। উলুধ্বনি এবং শাঁখ বাজিয়ে ব্যঙ্গও করা হয়েছে, তবে তাতে আমি কিছু মনে করিনি। তবে এরপর আমার গাড়িতে জুতা ছোড়া হয়। তখন আমি গাড়ির দরজা খুলে বলি, আপনারা এমন করবেন না, আপনাদের সঙ্গে কথা বলতেই এসেছি, বসতে এসেছি। তবে কেউ কোনও কথাই শুনলেন না। আমার মনে হয় প্রতিবাদের কথা না মনে রেখে জমায়েতে হুজুগে চলে গিয়েছিলেন। বুঝতে পারছি যে সকলেই ক্ষুব্ধ। তবে কলকাতার এই চেহারাটা দেখে আমি লজ্জিত, আহত, কম্পিত। বুধবার রাতে আমার প্রাণটাও চলে যেতে পারত।’
এনএইচ