বিদ্যুৎ-জ্বালানি সুরক্ষার নিশ্চয়তাকে সাংবিধানিক অধিকার করার দাবি

বিদ্যুৎ-জ্বালানি সুরক্ষার নিশ্চয়তাকে সাংবিধানিক অধিকার করার দাবি

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সুরক্ষার নিশ্চয়তাকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার।

আজ (সোমবার) বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) সদর দপ্তরে ‘বিদ্যুৎ রূপান্তর কোন পথে?’ শীর্ষক আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরহাদ মজহার বলেন, বিদ্যুৎ পাওয়া জনগণের জন্মসূত্রে, প্রাকৃতিক, মানবিক ও নাগরিক অধিকার। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সুরক্ষার নিশ্চয়তাকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে যুক্ত করতে হবে। প্রকৃতি ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নীতি করতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে কেন্দ্রে রাখতে হবে। গণমুখী জ্বালানি নীতি আমরা প্রণয়ন করতে চাই।

জনগণের জ্বালানি অধিকারকে ন্যায্য করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল পাবলিক এনার্জি ফান্ড দরকার। পাশাপাশি জ্বালানির অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমি ৩ লাখ কৃষক নিয়ে কাজ করি। কৃষকদের বড় অংশের বিদ্যুৎ নেই, গ্যাস নেই; তবু তারা কিন্তু টিকে আছে, ভালো আছে।’

বিদ্যুৎ বন্ধ করার হুমকি অন্তর্ঘাতমূলক কাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার দরকার। প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রত্যেক পর্যায়ে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। আরইবি ও সমিতির দ্বন্দ্বের নিরসনে উন্নত সুশাসন ও বিকেন্দ্রীকরণ দরকার, যাতে বিক্ষোভ প্রশমন করা যায়।

দেশের বাইরে থেকেও অনেক কিছুতে উসকানি আছে বলে জানান ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘গণ সার্বভৌমত্বের আলোকে আমরা নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়নের দাবি করছি। এটা কিন্তু আগের ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র নয়, যে চেয়ারম্যানের সামনে এসে বিক্ষোভ করবেন। আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান করতে হবে। যখন বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করবেন, সেটাকে অন্তর্ঘাত হিসেবে দেখব।’

তিনি বলেন, বিগত সরকার সমাজতন্ত্রের নামে নিউ লেভেল ইকনোমি বাস্তবায়ন করেছে। এখানে ব্যক্তির কোনো স্বার্থ থাকে না, কোম্পানির স্বার্থে কাজ করেছে। এই নিউ লেভেল ইকনোমিকে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। আমলাতন্ত্র বিনাশ করতে হবে; এটি সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। 

তিনি আরও বলেন, জনগণকে কেন্দ্রে আনতে হবে। জনগণকে বাদ দিয়ে কিছু করা মানে সেটাই ফ্যাসিজম হবে। নীতি প্রণয়নে ও নীতি বাস্তবায়নে অবশ্যই জনগণকে কেন্দ্রে আনতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জনগণকে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে।

ওএফএ/এনএফ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *