দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী উল্লেখ করে দেশটির রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বাংলাদেশে আরও উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী উল্লেখ করে দেশটির রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বাংলাদেশে আরও উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বন্দর নগরী চট্টগ্রামে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড) পরিদর্শনের সময় ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব)-এর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে কোরিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোরিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বের দিকে তাকিয়ে আছে। কোরিয়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে প্রস্তুত। সেজন্য কোরিয়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বাংলাদেশে আরও উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির করতে হবে। ব্যবসাবান্ধব ও স্থিতিশীল পরিবেশ উন্নতি করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজগুলোর মধ্যে একটি শীর্ষ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। কোরিয়ান দূতাবাস বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আরও আলোচনা করতে আগ্রহী।
রাষ্ট্রদূত দুই দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) সংক্রান্ত চলমান আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই ইপিএ-এর মাধ্যমে কোরিয়া বর্তমানে বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দিচ্ছে তা নয়, বরং পারস্পরিক সুবিধার জন্য দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াবে।
রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল, কোরিয়ান সরকারের কাছ থেকে সফট লোন বা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মেকানিজমের মাধ্যমে অনেক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে। কোরিয়ান দূতাবাস আশা করে যে, চলমান প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, কোরিয়ান কোম্পানিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো প্রকল্পে বিলম্ব করে না বা ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকল্পের খরচ বাড়ায় না। বরং তারা সময়মতো প্রকল্পের কাজ শেষ করার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়।
পার্ক সিক বলেন, বাংলাদেশ ও কোরিয়া লেদার, আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ নির্মাণ, ব্লু-ইকোনোমি এবং গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা, কৃষি ও কৃষি যন্ত্রপাতি, গ্রিন হাউস এবং কার্বন ট্রেডিং প্রকল্পের মতো নতুন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা করতে পারে।
এ সময় কেইপিজেডের সভাপতি জাহাঙ্গীর সাদাত এবং ডিক্যাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন।
এনআই/জেডএস