অনেকদিন ধরেই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) কর্তৃপক্ষ দোটানায় ছিল বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে। কারণ নিলামে দল পাওয়ার পর অনেকেই মাঝপথে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ থেকে সরে যান। এমন ক্রিকেটারদের জন্য এবার কড়া নিয়ম করা হয়েছে। মাঝপথে সরে গেলে তারা পরবর্তী দুই আইপিএল আসরে নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন।
অনেকদিন ধরেই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) কর্তৃপক্ষ দোটানায় ছিল বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে। কারণ নিলামে দল পাওয়ার পর অনেকেই মাঝপথে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ থেকে সরে যান। এমন ক্রিকেটারদের জন্য এবার কড়া নিয়ম করা হয়েছে। মাঝপথে সরে গেলে তারা পরবর্তী দুই আইপিএল আসরে নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন।
গতকাল (শনিবার) সভায় বসে আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। যেখানে আইপিএলের আসন্ন আসরের রিটেনশন, নিলামসহ বেশকিছু বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে থেকেই বিদেশি তারকাদের নাম সরিয়ে নেওয়ার কারণে ক্ষতির শিকার হয় বলে জানিয়ে আসছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এমন ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি উঠতে থাকে। শেষমেশ সমবেত সেই দাবিকে স্বীকৃতি দিল বিসিসিআই।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, প্রায় প্রতি মৌসুমেই আইপিএল শুরুর আগে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে ব্যক্তিগত কারণে টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে দেখা যায়। বলা বাহুল্য, শুধুমাত্র বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যেই এই প্রবণতা চোখে পড়ে। আইপিএল খেলতে না আসার পেছনে ক্রিকেটাররা যে কারণই দেখান না কেন, এমন বিশ্বাস দৃঢ় হতে শুরু করেছে যে, নিলামে পছন্দমতো দাম না পেলেই বিদেশি তারকারা টুর্নামেন্ট থেকে নিজদের সরিয়ে নেন। এতে নির্দিষ্ট দলের পরিকল্পনা ভেস্তে যায় এবং শেষ মুহূর্তে বিকল্প ক্রিকেটার খুঁজে পাওয়াও মুশকিল হয়ে পড়ে।
এমন পরিস্থিতি এড়াতে কড়া পদক্ষেপ নিতে কার্যত বাধ্য হয়েছে বিসিসিআই। ২০২৫ আইপিএলের মেগা নিলামের আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নির্দেশনা দিয়েছে যে, যদি কোনো ক্রিকেটার নিলামে দল পাওয়ার পর টুর্নামেন্ট শুরুর আগে নিজেকে সরিয়ে নেন, তবে তিনি পরবর্তী দুটি আইপিএল মৌসুমে খেলতে পারবেন না। এমনকি নিষিদ্ধ থাকাকালে নিলামেও অংশ নিতে পারবেন না সেসব ক্রিকেটার। এক্ষেত্রে তারা ছাড় পাবেন কেবল সংশ্লিষ্ট দেশের ক্রিকেট বোর্ড ওই ক্রিকেটারের ইনজুরি বা এ সংক্রান্ত জরুরি বিষয়ের কথা নিশ্চিত করলে।
এক্ষেত্রে শুধু বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্যই নয়, বরং সমস্ত ক্রিকেটারদের জন্যই এই নিয়ম চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। যদিও বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, বিদেশি ক্রিকেটারদের সতর্ক করতেই তাদের এমন সিদ্ধান্ত। এখন দেখার বিষয় বোর্ডের এই কড়া নিয়মের পর বিদেশি তারকাদের টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রবণতা কমে কি না।
এর আগে আইপিএলের ২০২৪ আসরে ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে একের পর এক টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়াতে দেখা যায়। কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই তারকা গাস অ্যাটকিনসন ও জেসন রয় আইপিএল থেকে নাম তুলে নেন। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের মার্ক উডও সরে দাঁড়ান পরে। এ ছাড়া তারা দলে পায়নি ডেভিড উইলিকেও। দিল্লি ক্যাপিটালসে ডাক পাওয়ার পর হ্যারি ব্রুক আইপিএল খেলতে আসবেন না বলে জানিয়ে দেন। রাজস্থান রয়্যালসের অস্ট্রেলিয়ান তারকা স্পিনার অ্যাডাম জাম্পাও শেষ পর্যন্ত আইপিএল খেলতে আসেননি।
এএইচএস