দেশের ক্রীড়াঙ্গনের আতুড়ঘর বিকেএসপি (বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান)। খেলাধূলার পাশাপাশি সেখানেও একাডেমিক কার্যক্রমও আছে। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় বিকেএসপির ১৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। এর মধ্যে ১২৬ জন পাশ করেছে। জিপিএ ফাইভের সংখ্যা সাতটি।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনের আতুড়ঘর বিকেএসপি (বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান)। খেলাধূলার পাশাপাশি সেখানেও একাডেমিক কার্যক্রমও আছে। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় বিকেএসপির ১৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। এর মধ্যে ১২৬ জন পাশ করেছে। জিপিএ ফাইভের সংখ্যা সাতটি।
সাত জন জিপিএ ফাইভপ্রাপ্তের মধ্যে হকি ডিসিপ্লিন থেকে মাহমুদ হাসান ও শাহির বিন জাহাঙ্গীর দুই জনই জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন। হকির দুই জন ছাড়া অন্য পাচ জন জিপিএ ফাইভপ্রাপ্তরা হলেন- বাস্কেটবলের রোহান, জিমন্যাস্টিক্সের সাজিদ হক, ফুটবলের আনিকা তানজুম, বক্সিংয়ের ইমরুল কায়েস ও শুটিংয়ে নুসরাত জাহান শামসি। এদের মধ্যে শামসি অনিয়মিত শিক্ষার্থী।
হকি খেলোয়াড় মাহমুদ হাসান এসএসসিতেও জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন। পড়াশোনায় যেমন খেলাধূলাতেই তেমন। জুনিয়র এএইচএফ কাপে গোলরক্ষক মাহমুদ ফাইনালে ম্যাচ সেরাও হয়েছিলেন। খেলাধূলা ও পড়াশোনা দুই ক্ষেত্রেই ভারসাম্য রেখে চলতে চান আগামী দিনেও,‘দু’টিই খুব মনোযোগ দিয়ে করি। হকিতে সিনিয়র জাতীয় দলেও খেলতে চাই। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো একটি বিষয়ে পড়তে চাই।’
মাহমুদ হাসান বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তবে তার উচ্চ শিক্ষায় পছন্দের বিষয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ‘বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হলেও আমি অনার্সে বিষয় পরিবর্তন করতে চাই। সেক্ষেত্রে আমি আইআর (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) পড়তে চাই। বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নেব।’
সাভারে অবস্থিত বিকেএসপিতে ১৫৭ জন শিক্ষার্থী থাকলেও পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১৪৮ জন। ২২ জন পাশ করতে পারেনি। পাশের হার ৮৪.২১। গত বছর এইচএসসিতে বিকেএসপির জিপিএ ফাইভের সংখ্যা ছিল ১১।
এজেড/এফআই