রাজধানীর পল্টনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজের সময় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। খতিব মুফতি রুহুল আমিন নামাজের আগে বয়ান করার সময় একদল মুসল্লি তার পেছনে নামাজ পড়তে অনীহা প্রকাশ করলে উপস্থিত মুসল্লিরা এর প্রতিবাদ করেন। পরে দুই পক্ষের লোকজন হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়ান।
রাজধানীর পল্টনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজের সময় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। খতিব মুফতি রুহুল আমিন নামাজের আগে বয়ান করার সময় একদল মুসল্লি তার পেছনে নামাজ পড়তে অনীহা প্রকাশ করলে উপস্থিত মুসল্লিরা এর প্রতিবাদ করেন। পরে দুই পক্ষের লোকজন হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়ান।
আজ (শুক্রবার) দুপুরে মসজিদের গেটের ভেতরে এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন মুসল্লি আহত হয়েছেন। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খতিব মুফতি রুহুল আমিন নামাজ না পড়িয়ে মসজিদ ত্যাগ করেন।
নুরুল হক নামে এক মুসল্লি বলেন, আজকে স্বাভাবিকভাবে আমরা নামাজে আসছি। খতিব রুহুল আমিনের সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে এসে মসজিদের ভেতরে ভাঙচুর করেছে। রুহুল আমিন জোর করে নামাজ পড়াবে পড়াক কিন্তু মুসল্লিদের ওপর আক্রমণ কেন করল? মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের মেরেছে তারা।
আরেক মুসল্লি বলেন, আমি নামাজ পড়তে আসছি, আমার ওপর আক্রমণ করা হয়। মসজিদের ভেতর থেকে কাচ ভাঙ্গা আমাদের ওপর নিক্ষেপ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর পলাতক থাকা বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিন জুমার নামাজ পড়ানোর জন্য মসজিদে আসেন। পরে মুসল্লিরা তার পেছনে নামাজ পড়তে না চাইলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মুসল্লি ও সাবেক খতিবের সমর্থকরা। এ সময় মসজিদের ভেতরে ভাঙচুর করা হয়। দরজা জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এমএসআই/এমএ