বাফুফে সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিন নির্বাচন করবেন না। এই ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সভাপতি পদে প্রার্থীর নাম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে। সেখানে ফুটবল সংগঠক তরফদার রুহুল আমিনের নাম ঘোষণা হয়েছে।
বাফুফে সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিন নির্বাচন করবেন না। এই ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সভাপতি পদে প্রার্থীর নাম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে। সেখানে ফুটবল সংগঠক তরফদার রুহুল আমিনের নাম ঘোষণা হয়েছে।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর এক হোটেলে ঐক্যমতের ভিত্তিতে বাফুফে নির্বাচনে সভাপতির নাম ঘোষণা হয়। অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী ইমাম তপন এই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘জেলা ও ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকে তরফদার রুহুল আমিনকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। ফুটবল ফেডারেশন জেলা পর্যায়ে লিগ পরিচালনা করতে সহায়তা করেনি। উনার সহায়তায় জেলায় লিগ হয়েছে।’ একই মঞ্চ থেকে তরফদার রুহুল আমিন জানান, আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থীতা তিনি গ্রহণ করেছেন।
আজকের অনুষ্ঠানের মঞ্চে সাবেক তারকা ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক, সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির সহ আরো অনেকে। মঞ্চে না থাকলেও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, ডাকসুর সাবেক নেতা খায়রুল কবির খোকন এছাড়া বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তা, সাবেক খেলোয়াড়রা।
তরফদার রুহুল আমিন মূলত ব্যবসায়ী। ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তার ফুটবলাঙ্গনে পথচলা শুরু। ২০১৬-২০২২ পর্যন্ত ফুটবলে অনেক অর্থের বিনিয়োগ করেছেন। বসুন্ধরা কিংসের আগে তিনিই প্রথম পেশাদার ফুটবল ক্লাব সাইফ স্পোর্টিং গড়েন। সেই ক্লাব থেকে জাতীয় ফুটবল দলে এখন অনেকেই প্রতিষ্ঠিত। জেলা-বিভাগীয় পর্যায়ে ফুটবল ফেডারেশন অর্থ সেভাবে দেয়নি কখনো।
তরফদার রুহুল আমিনের অর্থায়নে জেলা-বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশন ২-৩ বছর খেলা পরিচালনা করেছে। ফুটবল ফেডারেশনে আনুষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াও মহানগর ক্লাব পর্যায়েও অনেক অর্থ প্রদান করেছেন এই সংগঠক। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে সাইফ স্পোটিং সিনিয়র ও জুনিয়র দুই ক্লাবই ফুটবল থেকে প্রত্যাহার করে। এবার সেই সভাপতি নির্বাচন না করার ঘোষণা দিতেই সামনে এলেন তরফদার রুহুল আমিন।
এজেড/জেএ