বাগেরহাটে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

বাগেরহাটে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সজীব তরফদারকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সজীব তরফদারকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে ডেমা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে চাচা কামাল তরফদারকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাগেরহাট-রামপাল সড়ক দিয়ে বাগেরহাট শহরে যাচ্ছিলেন সজীব তরফদার। দুপুর ২টার দিকে পার্শ্ববর্তী গ্রাম মির্জাপুর আমতলা মসজিদের সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার গতিরোধ করে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। এ সময় গুলিতে মোটরসাইকেলে থাকা সজীবের চাচা কামাল তরফদার আহত হন। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত সজীব তরফদার ডেমা গ্রামের মৃত সিদ্দিক তরফদারের ছেলে। সজীবের স্ত্রী ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। সজীব তরফদার ডেমা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড থেকে তিনিবার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি বুলেটের খোসা, একটি দা’সহ কিছু আলামত জব্দ করেছে।

স্বজনদের অভিযোগ, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যা। এর পেছনে যারা রয়েছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

সজিবের বড় ভাই নাজমুল তরফদার বলেন, সজীব বাড়ি থেকে বাগেরহাটে যাচ্ছিল, সঙ্গে চাচা ছিল। খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসে দেখি আমার ভাইয়ের মাথায় চারটি গুলি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।

বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক বলেন, সজীব একজন জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। সেই কারণে তার প্রতিপক্ষরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে।

এটা পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে অপরাধী ও পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই নেতা।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ বলেন, ঘটনাস্থলে পাওয়া বুলেটের খোসা থেকে বোঝা যায় এটা শটগানের গুলি। ধারণা করছি শটগান দিয়ে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা নিশ্চিত করতে একাধিক দল ছিল, হত্যাকারীরা মুখোশ পরা ছিল। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। খুব দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে সাবেক এই বিএনপি নেতার হত্যাকারীদের বিচার দাবি ও শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম ও সাবেক সভাপতি এম এ সালাম।

শেখ আবু তালেব/এমজেইউ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *