বাংলাদেশের সঙ্গে অক্টোবরে বিদ্যুৎ চুক্তি করতে চায় নেপাল

বাংলাদেশের সঙ্গে অক্টোবরে বিদ্যুৎ চুক্তি করতে চায় নেপাল

৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দেয় নেপাল। আর এই বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য আগামী ৩ অক্টোবর বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করতে আগ্রহ দেখিয়েছে দেশটি। যদি চুক্তি হয় তাহলে নেপালের বিদ্যুৎ ভারতের সঞ্চালন লাইন হয়ে বাংলাদেশে আসবে।

৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দেয় নেপাল। আর এই বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য আগামী ৩ অক্টোবর বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করতে আগ্রহ দেখিয়েছে দেশটি। যদি চুক্তি হয় তাহলে নেপালের বিদ্যুৎ ভারতের সঞ্চালন লাইন হয়ে বাংলাদেশে আসবে।

তবে বাংলাদেশ ও ভারত কেউই এখন পর্যন্ত চুক্তির দিন-তারিখ নিশ্চিত করেনি বলে জানিয়েছেন নেপালের বিদ্যুৎ, পানি সম্পদ এবং সেচ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চিরঞ্জীবি চাতাউত।

তিনি সংবাদমাধ্যম মাই রিপালিকাকে বলেছেন, “যদি ভারত-বাংলাদেশ প্রস্তাবিত তারিখের অন্তত দুইদিন আগে ইতিবাচক সাড়া দেয়। তাহলে আগামী ৩ অক্টোবর তৃপাক্ষিক চুক্তিটি হবে। নেপালের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সব পক্ষ সম্মত হলে কাঠমান্ডুতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, নেপালের পক্ষ থেকে আগামী ১ অক্টোবর বাংলাদেশকে একটি যৌথ ওয়ার্কিং দলের বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে। এরপর দুই দেশের মধ্যে একটি যৌথ স্টিয়ারিং দলের বৈঠক হবে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নেপাল-ভারত-বাংলাদেশের এই বিদ্যুৎ চুক্তিটির সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে আছে। এমনকি গত ২৮ জুলাই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত ওই সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন চলায় চুক্তিটি করা সম্ভব হয়নি।

এরপর পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হয়েছে তখন নেপাল আবারও আলোচনায় আগায়। তখন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে চুক্তির সবুজ সংকেতও দেওয়া হয়। এরপরই নেপাল চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য অক্টোবরের ৩ তারিখকে নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ও ভারতকে প্রস্তাব দিয়েছে।

চুক্তিটি হলে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাবে হিমালয়ের দেশটি। নেপাল থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বাংলাদেশ কিনবে ৮ দশমিক ১৭ রুপিতে। যার মধ্যে ভারতের সঞ্চালন লাইনের খরচও থাকবে।

নেপাল বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাবে তাদের দুটি কেন্দ্র থেকে। এরমধ্য ২৫ মেগাওয়াট ত্রিশূলি থেকে আর ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে চিলমি হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্ট থেকে।

সূত্র: মাই রিপাবলিকা

এমটিআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *