ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি ওঠায় ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি ওঠায় ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ফলে বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকায় বুধবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে নোয়াখালী ও ফেনী। নোয়াখালীতে প্রায় চার লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা বলছেন, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে আরো এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়তে পারে।
নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জিএম মো. জাকির হোসেন বলেন, আমাদের এই সমিতিতে ৭ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। আমাদের কয়েকটি সাবস্টেশনসহ বিদ্যুৎ বিতরণকারী বেশির ভাগ এলাকায় ইতিমধ্যে বন্যার পানি ওঠে গেছে। ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকি এড়াতে ৫০ শতাংশের বেশি (প্রায় চার লাখ) গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। সন্ধ্যায় আমাদের অফিসের ভিতরেও পানি প্রবেশ করেছে।
অন্যদিকে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (ওঅ্যান্ডএম) আকাশ কুসুম বড়ুয়া জানান, বন্যার পানি ওঠায় ইতিমধ্যে আমাদের চারটি সাবস্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে চার লাখ ১৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে এক লাখ ৮৩ হাজার বেশি গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
ওএফএ/পিএইচ