বন্যায় ঘর হারিয়ে ২২ দিন ধরে ব্রিজের ওপর থাকছেন ফখরের নেছা

বন্যায় ঘর হারিয়ে ২২ দিন ধরে ব্রিজের ওপর থাকছেন ফখরের নেছা

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত ফেনীর জনপদ। বন্যার পানিতে ডুবে শেষ হয়ে গেছে লাখো মানুষের স্বপ্ন। নিমেষেই মাটিতে মিশে গেছে তাদের দীর্ঘদিনের কষ্টে গড়ে তোলা সাজানো বসতভিটা। তেমনই এক ভুক্তভোগী জেলার পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ জঙ্গলঘোনা গ্রামে ফখরের নেছা (৫০)। পানির তীব্র স্রোতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে গত ২২ দিন ধরে একটি ব্রিজের ওপর ঝুপড়ি তৈরি করে স্বামী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত ফেনীর জনপদ। বন্যার পানিতে ডুবে শেষ হয়ে গেছে লাখো মানুষের স্বপ্ন। নিমেষেই মাটিতে মিশে গেছে তাদের দীর্ঘদিনের কষ্টে গড়ে তোলা সাজানো বসতভিটা। তেমনই এক ভুক্তভোগী জেলার পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ জঙ্গলঘোনা গ্রামে ফখরের নেছা (৫০)। পানির তীব্র স্রোতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে গত ২২ দিন ধরে একটি ব্রিজের ওপর ঝুপড়ি তৈরি করে স্বামী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।

জানা গেছে, সিলোনিয়া নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজের পূর্ব পাশে ৮ শতক জমিতে সাজানো বসতভিটায় স্বামী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস ছিল ফখরের নেছার। স্বামী ননা মিয়া অসুস্থ। পাঁচ মেয়ের মধ্যে চারজনকে বিয়ে দিয়েছেন। তাদের একমাত্র ছেলে ফেনী শহরের একটি হোটেলে কাজ করেন। গত ২০ আগস্ট ঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। এদিন রাতে ঘরের চালা পর্যন্ত পানি উঠে গেলে কোনোমতে মেয়ে ও অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে সিলোনিয়া ব্রিজের ওপর উঠে জীবন বাঁচান ফখরের নেছা। তারপর থেকে ব্রিজের ওপর ঝুপড়ি তৈরি করে থাকছেন তিনি।

দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে ফখরের নেছা বলেন, সেদিন রাতে কোনো মতে সিলোনিয়া ব্রিজের ওপর উঠে জীবন বাঁচিয়েছি। ঘরের সব আসবাবপত্র শেষ হয়ে গেছে। ব্রিজের পিলারের কারণে পানির স্রোতের সঙ্গে ভেসে যেতে না পেরে কিছু টিন আটকে ছিল। পরের দিন থেকে সেগুলো দিয়ে ব্রিজের ওপর একটি ঝুপড়ি বানিয়ে থাকছি। খোলা আকাশের নিচে রান্না করে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। শৌচকার্য করার জায়গাও নেই।

তিনি বলেন, এতদিন ধরে ব্রিজের ওপর ঝুপড়ি ঘরে থাকলেও কোনো সাহায্য পাইনি। এখন কার কাছে যাব? কোথায় থাকব? আমরা গরিব মানুষ। সরকার বা কেউ সহযোগিতা করলে আবার ঘর তৈরি করতে পারব।

এ বিষয়ে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপজেলায় বন্যায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় এক হাজার মানুষ আবেদন করেছেন। মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি। কোনো ধরনের সহযোগিতা এলে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রদান করা হবে। তবে বিভিন্ন এনজিও ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পুনর্বাসনে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

তারেক চৌধুরী/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *