প্রশাসনের দখলে ভোলার মেঘনা-তেতুঁলিয়া নদী

প্রশাসনের দখলে ভোলার মেঘনা-তেতুঁলিয়া নদী

চলতি বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে ভোলার মেঘনা-তেতুঁলিয়া নদীতে টহল দিচ্ছে প্রশাসন। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের জন্য কোনো জেলে ও মাছধরার ট্রলার নদীতে নামতে দেখা যায়নি।

চলতি বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে ভোলার মেঘনা-তেতুঁলিয়া নদীতে টহল দিচ্ছে প্রশাসন। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের জন্য কোনো জেলে ও মাছধরার ট্রলার নদীতে নামতে দেখা যায়নি।

রোববার (১৩ অক্টোবর) অভিযানের প্রথম দিন ভোর থেকেই নদীতে মৎস্য বিভাগ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের সরব উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।

সরেজমিনে ভোলার মেঘনা ও তেতুঁলিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শতভাগ জেলে ও মাছ ধরা ট্রলার নদীতীরে অবস্থান করছে। জেলে শূন্য রয়েছে ভোলার প্রধান দুটি নদী। 

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর ঢাকা পোস্টকে জানান, ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুম ২০২৪ উপলক্ষ্যে মা ইলিশ রক্ষার্থে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন। এরই ধারাবাহিকতায় সকাল থেকে ভোলায় জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ, পোস্টারিং, মাইকিংসহ নানাভাবে প্রচারণা চালিয়ে সচেতন করা হচ্ছে। ছাড়া বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের দ্বায়িত্বাধীন উপকূলীয় ও নদী এলাকার মৎস্য অভায়শ্রমগুলোতে মা ইলিশ রক্ষায় কোস্টগার্ডের সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, শনিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুরু হয়েছে এ নিষেধাজ্ঞা। চলবে আগামী ৩ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ২২ দিন। এসময় নদীতে ইলিশ শিকার, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ, পরিবহন ও বিনিময় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। যার আওতায় রয়েছে ভোলার মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকা।

আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *