সম্প্রতি ব্রুনাইয়ে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের একটি এজেন্ট ‘রেমিটেন্স সেকেন্ডস’-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ টাকা পাঠিয়ে প্রবাসীদের প্রতারিত হওয়ার ঘটনায় ব্রুনাই এবং বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র প্রেরণ করেছে ব্রুনাইয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস। এ ঘটনার অগ্রগতি জানাতে ৩-৪ সদদ্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা বলতে চান হাইকমিশনার।
সম্প্রতি ব্রুনাইয়ে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের একটি এজেন্ট ‘রেমিটেন্স সেকেন্ডস’-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ টাকা পাঠিয়ে প্রবাসীদের প্রতারিত হওয়ার ঘটনায় ব্রুনাই এবং বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র প্রেরণ করেছে ব্রুনাইয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস। এ ঘটনার অগ্রগতি জানাতে ৩-৪ সদদ্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা বলতে চান হাইকমিশনার।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ব্রুনাইয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুকে এক পোস্টে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ব্রুনাইয়ের ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন একটি এজেন্ট ‘রেমিটেন্স সেকেন্ডস’ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এ টাকা পাঠিয়ে প্রতারিত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ হাইকমিশন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ হাইকমিশন সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ পর্যন্ত ব্রুনাই এবং বাংলাদেশ এর সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
ব্রুনাই এর সেন্ট্রাল ব্যাংক, পুলিশ, আদালত, আইনজীবী এসকল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সভা করা হয়েছে। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এর প্রধান কার্যালয়ে ই-মেইল করা হয়েছে এবং আমেরিকাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এর সহায়তায় ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়েছে।
দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশ এবং ব্রুনাই এর সকল দপ্তর এ ঘটনায় সুষ্ঠু সমাধানের জন্য তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এর চাহিদার প্রেক্ষিতে আপনারা যে সকল পুলিশ রিপোর্ট ও নকল রিসিপ্ট বাংলাদেশ হাইকমিশন এ জমা দিয়েছিলেন তা প্রেরণ করা হলেও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন থেকে আশানুরূপ কিছু জানানো হয়নি।
আমরা আপনাদের আশ্বস্থ করতে চাই, আমরা যত স্থানে সভা বা পত্র দিয়েছি সবখানেই আপনাদের অর্থ প্রাপ্তিকেই গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। তবে এই ঘটনা আইন এর দৃষ্টিতে শুধুমাত্র অর্থ প্রদান বা প্রাপ্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে বাংলাদেশসহ একাধিক দেশের নাগরিকের অন্যায় সংশ্লিষ্টতা, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন মাত্রায় তদন্তনাধীন রয়েছে। এ কাজে আমরা ব্রুনাই সরকার এর আন্তরিক প্রচেষ্টাকে শ্রদ্ধা জানাই। এ প্রেক্ষিতে আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, এই মামলার সকল তদন্ত কার্যক্রম কখন সম্পন্ন হবে বা অর্থ প্রাপ্তির কোনও সুযোগ রয়েছে কিনা এমন কোনও তথ্য এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে নেই।
দূতাবাস বলছে, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি, আপনারা অনেকেই আগামী সোমবার বাংলাদেশ হাই কমিশন এ ঘটনার অগ্রগতি জানতে আসতে চাচ্ছেন। আমরা জানি আপনারা এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত। এর বাইরে একদিন কাজের ক্ষতি করে হাইকমিশন এসে আপনারা যে তথ্য পাবেন তাই আপনাদেরকে জানানো হলো। সে প্রেক্ষিতে আপনারা সকলেই একসঙ্গে না এসে আপনাদের ৩-৪ জনের প্রতিনিধি আগামী সোমবার দুপুর ১২টায় হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করে যেতে পারেন।
আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই, বাংলাদেশ হাইকমিশন এই প্রতারণার ঘটনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করছে। তবে যে সমাধানই আসুক না কেন, সকল ক্ষেত্রে আপনারা ব্রুনাইয়ের আইন মেনে চলবেন।
এনআই/এমএসএ