পুরুষ ফুটবলারদেরও পাওনা বাকি

পুরুষ ফুটবলারদেরও পাওনা বাকি

বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দলে নির্দিষ্ট বেতন ও ম্যাচ ফি নেই। জাতীয় দলের ক্যাম্প হলে সকল ফুটবলার ২০ হাজার টাকা করে পান সম্মানী হিসেবে। জাতীয় ফুটবলাররা নভেম্বর উইন্ডোর জন্য অনুশীলন করলেও ফেডারেশন এখনো সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে খেলা ফুটবলারদের সম্মানী প্রদান করতে পারেনি।

বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দলে নির্দিষ্ট বেতন ও ম্যাচ ফি নেই। জাতীয় দলের ক্যাম্প হলে সকল ফুটবলার ২০ হাজার টাকা করে পান সম্মানী হিসেবে। জাতীয় ফুটবলাররা নভেম্বর উইন্ডোর জন্য অনুশীলন করলেও ফেডারেশন এখনো সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে খেলা ফুটবলারদের সম্মানী প্রদান করতে পারেনি।

জাতীয় ফুটবল দলে খেলা অনেক ফুটবলারই ক্লাব পর্যায়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেন। ফেডারেশনের ২০ হাজার টাকা একেবারেই নিছক তাদের জন্য। এরপরও দেশের দায়িত্ব পালনে সামান্য অঙ্কটা তাদের জন্য বড় সম্মান ও মর্যাদার। সিনিয়র ফুটবলাররা বাফুফের এই বকেয়া পড়া সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত। তবে জাতীয় দলের প্রায় প্রতি ক্যাম্পেই নতুন মুখ থাকেন। তাদের কাছে জাতীয় দলের সম্মানীর আলাদা একটা ব্যাপার। বাফুফের অদক্ষ ব্যবস্থাপনায় সেই সুখকর স্মৃতি আর থাকে না নবাগতদের।

সিনিয়র দলে ক্যাম্পে বিশ হাজার আর জুনিয়র দলে দশ হাজার সম্মানী। সম্প্রতি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ ও ২০ দল সাফ এবং এএফসি দু’টি করে টুনামেন্ট খেলেছে। দুই দলই একটি করে টুর্নামেন্টের সম্মানী পেয়েছে, আরেকটি এখনো বকেয়া। অনূর্ধ্ব-১৭ দল কম্বোডিয়া থেকে এএফসি টুর্নামেন্ট খেলে ফিরেছে মাত্র কয়েক দিন আগে। তবে অনূর্ধ্ব-২০ দল ভিয়েতনাম থেকে ফিরেছে এক মাসের বেশি হয়েছে।

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ ছিলেন মারুফুল হক। তিনি বাফুফের প্যানেলভুক্ত কোচ নন। তাই এক মাসের জন্য মারুফকে সম্মানী প্রদান করার কথা বাফুফেকে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মাস পেরিয়ে গেলেও মারুফ সেই সম্মানী পাননি বলে জানা গেছে। এই বিষয়ে মারুফ কোনো কিছু বলতে রাজি নন। বাফুফেতে কাজ করে সম্মানী বিড়ম্বনা মারুফের নতুন কিছু নয়। ২০১৫ সালে কেরালা সাফে জাতীয় দলের হেড কোচ ছিলেন। পাওনা না পেয়ে ফেডারেশনে উকিল নোটিশ পাঠাতে বাধ্য হয়েছিলেন।

নারী সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া সাবিনারা সেপ্টেম্বর মাসের বেতন না পেয়েই কাঠমান্ডু গিয়েছিলেন অক্টোবরের মাঝপথে। সাবিনারা ফেরার পর বাফুফে উচ্ছ্বাসে ভাসছে। অথচ সাফের মতো টুর্নামেন্টের আগে প্রাপ্য পাওনা পরিশোধ করতে না পারা যে ব্যর্থতা সেটা বেমালুম ভুলে গেছেন তারা। এএফসি কংগ্রেস থেকে ফিরে বাফুফে নির্বাহী সদস্য ও সাবেক নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ আজ কাজী সালাউদ্দিনকে নারী ফুটবলে সফলতার জন্য প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। কাজী সালাউদ্দিন তার তারকাখ্যাতি ব্যবহার করে বাফুফের অর্থ জোগান দিয়েছেন এমন মন্তব্যও করেছেন। সভাপতি হিসেবে অর্থ আনা যেমন দায়িত্ব তেমনি এর সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা ও তদারকিও প্রয়োজন। যেটা সালাউদ্দিন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

বাফুফের আর্থিক ব্যবস্থাপনা খুবই দুর্বল। সাবিনা-জামালদের বেতন, বোনাস, ম্যাচ ফি বকেয়া থাকে আর প্রশাসনিক স্টাফরা মাস যাওয়ার আগে বেতন পকেটে নেন। ফুটবল ফেডারেশনের কাছে ফুটবলারদের নয়, অন্যদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানই যেন মূখ্য।

এজেড/এইচজেএস 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *