পুরান ঢাকায় পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে পেতে চায় গীতা রানী

পুরান ঢাকায় পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে পেতে চায় গীতা রানী

পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে সংখ্যালঘু এক পরিবারের বাড়ি দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক চন্দ্র রায়, শিল্পী রায় ও গোবিন্দর বিরুদ্ধে গীতা রানী নামে এক ভুক্তভোগী এই অভিযোগে একটি মামলাও করেছেন।

পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে সংখ্যালঘু এক পরিবারের বাড়ি দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক চন্দ্র রায়, শিল্পী রায় ও গোবিন্দর বিরুদ্ধে গীতা রানী নামে এক ভুক্তভোগী এই অভিযোগে একটি মামলাও করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী গীতা রানী জানান, হৃষিকেষ দাস রোডের ৯৫ নম্বরের শত বছরের পুরোনো বাড়িটিতে থাকতেন গীতা রানী ও তার দুই ভাই। তার পিতা প্রয়াত ব্রজ বল্লভ দাস। কিন্তু দুই ভাই নিতাই চন্দ্র দাস ও গোবিন্দ চন্দ্র দাস অবিবাহিত অবস্থায় মারা গেলে একমাত্র বোন হিসেবে গীতা রানী দাস হিন্দু আইনের বিধানমতে ওয়ারিশমূলে মালিক হন। গীতা রানী চিরকুমারী হওয়ায় তার পরিবারে আর কোনো ওয়ারিশদার নেই। ফলে জোরপূর্বক পৈতৃক ভিটা থেকে তাকে উচ্ছেদ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এখন তিনি এক মুসলিম পরিবারে আশ্রয় নিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গীতা রানী দাস বলেন, ৯৫ নং ঋষিকেশ দাস রোডে আমার বাড়ির নীচ তলায় কার্তিক চন্দ্র রায় ও পরিবারসহ দীর্ঘদিন ভাড়ায় রয়েছে। পরে কার্তিক চন্দ্র, তার স্ত্রী শিল্পী রানী ও দুই মেয়েসহ তার পরিবার আমাদের বাড়ির দোকানের জায়গা আত্মসাৎ করার জন্য শ্রী শ্রী যুত মদন গোপাল জিউ বিগ্রহ ঠাকুর মন্দির কমিটির সভাপতি সেক্রেটারির যোগসাজশে দখল করেছে। সেখানে তারা একটি ভুয়া সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। বর্তমানে দোকানটিতে মূর্তি স্থাপন করেছে। ভূমি দস্যুরা বলে এটা দেবোত্তর সম্পত্তি। মূলত এই সম্পত্তি দেবোত্তর সম্পত্তি নয়। এটা আমার ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি।

তিনি আরও বলেন, ভূমি দস্যুরা দোকানটির টাকা পরিশোধ না করে বেআইনিভাবে অবস্থান নিয়ে থাকায় আমি বকেয়া মাসিক ভাড়ার টাকা চাইলে তারা পরিশোধ না করে বরং আমাকে আর ভাড়ার টাকা প্রদান করবে না বলে জানায়। এছাড়া ভাড়াকৃত দোকানের বাড়ির ৯টি রুম বিল্ডিং দোতলা দখল ছাড়বে না এবং ভাড়ার টাকা চাইলে আমাকে খুন, জখম করে লাশ গুম করার হুমকি দিচ্ছে। আমি একজন বয়োবৃদ্ধ মানুষ।

বিচার দাবি করে গীতা রানী বলেন, ড. ইউনূসের সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের হাত থেকে জমি উদ্ধার করে সম্প্রীতি বজায় রাখার দাবি জানাই।

এমএল/এমজে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *