খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়িদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। রাবি ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) জুম্ম পরিবার এই কর্মসূচি পালন করে।
খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে মামুন নামে এক বাঙালি যুবক নিহত হয়। পরে এ হামলার জের ধরে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, মধুপুর ও দীঘিনালায় পাহাড়িদের অন্তত ৩০টি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তারই প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘দীঘিনালায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘খাগড়াছড়িতে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘পাহাড়িদের ওপর নির্বিচারে গুলি কেন জবাব চাই’, ‘বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা কেন’, ‘সেটেলাররা সেটেল হলো, পাহাড়িরা কেন ঘরছাড়া হলো’, ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বিজয় চাকমা বলেন, আমরা বিচ্ছিন্নতাবাদী নই, আমরা সম্পৃক্তবাদী। আমরা সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করছি ব্যারাকে ফিরে যেতে। আমরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নই, সেনাশাসনের বিরুদ্ধে।
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী অন্বেষণ চাকমা বলেন, আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুম্ম পরিবার পাহাড়ে হামলার তীব্র জানায়। যে জাতি অন্যায় বৈষম্যের বিচার করতে পারে না, সে জাতি কখনো উন্নতি করতে পারবে না। আমাদের দাবিগুলো মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। আমরা অতি দ্রুত এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী তারেক শাহরিয়ার বলেন, পাহাড়ে যে শান্তি চুক্তি আছে তা কোনো সরকারই ঠিক মতো মূল্যায়ন করে না। আমরা স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই।
জুবায়ের জিসান/এনএফ