পাকিস্তানকে হারানোর কৃতিত্ব যাদের দিলেন ফাহিম

পাকিস্তানকে হারানোর কৃতিত্ব যাদের দিলেন ফাহিম

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের আগে পাকিস্তানকে কখনো লাল বলে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। অবশেষে তাদের ঘরের মাঠেই সেই অধরা জয়ের দেখা পেয়েছে টাইগাররা। স্বাগতিকদের ১০ উইকেটে হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর আজ গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করেছেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম।

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের আগে পাকিস্তানকে কখনো লাল বলে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। অবশেষে তাদের ঘরের মাঠেই সেই অধরা জয়ের দেখা পেয়েছে টাইগাররা। স্বাগতিকদের ১০ উইকেটে হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর আজ গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করেছেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম।

এই জয় নিয়ে ফাহিম বলেন, ‘বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে ৪০০ এর বেশি রান চেইজ করতে গিয়ে প্রথম যে চিন্তাটা আসে ফলো অনটা এড়াতে পারবে কিনা। আমাদেরও আসছিল যখন খেলা দেখছিলাম। কারণ সাম্প্রতিক অতীতে আমাদের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো ছিল না। এখানে কৃতিত্ব দিতে হবে দলকে, প্লেয়ারদেরকে। বিশেষ করে সাদমানের (ইসলাম) কথা আমি বলব, সে শুরুতে যেভাবে পাকিস্তানের বোলারদেরকে হ্যান্ডেল করেছে সেটা অন্যান্য প্লেয়ারদেরকে সাহস দিয়েছে।’

‘ড্রেসিংরুমকে স্বস্তি দিয়েছে। পরে তো বাকিরাও এসে পারফর্ম করেছে। মুশফিক (মুশফিকুর রহিম) এসে ১৯০ রান করেছে। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে ১০টা উইকেট নিতে হত আমাদের। এ মন জায়গা থেকে হেরেও গেছি এমনও আছে কিন্তু। পেসার স্পিনার সবাই দলে অবদান রেখেছে। এখানে টিম এফোর্টের কারণে আমরা জিতেছি। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, কমিটমেন্টের জায়গায় বেশ পরিবর্তন দেখেছি, কোনো সন্দেহ নেই।’-যোগ করেন তিনি।

ফাহিম আরও জানিয়েছেন, ‘একটা দল যখন বাইরে খেলতে যায় তখন তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। একটা দলকে যদি স্বাধীনতা দেওয়া হয় তাদের কিন্তু পেছনে ফিরে তাকাতে হয় না। তাদের পেছনে যদি একটা রশি টেনে রাখা হয় তাহলে কিন্তু তারা নিজের ইচ্ছামত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। সিদ্ধান্ত যে সবসময় সঠিক হবে তা নয়। তবে ফ্রিলি সিদ্ধান্ত নেওয়াটা জরুরি, যেকোনো খেলাতেই, ক্রিকেটে তো অবশ্যই।’

বন্যায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে ফাহিম বলেন, ‘অবশ্যই (ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত) করেছে। আমাদের সবাইকে করেছে। সারা বাংলাদেশকে করেছে। আমরা যদি দেখি বন্যা দুর্গতদের জন্য সারা দেশের মানুষ কী করছে। আমরা দেখছি কিন্তু। সারা পৃথিবীতে কোথাও কেউ দেখে নাই। মানুষের পাশে মানুষের দাঁড়ানোর যে ব্যাপারটা। এগুলো আমাদের সবাইকে অন্যভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। ওরা কোনোভাবেই এর বাইরে না। ওরাও দেখছে, ওরাও জানে ওদের দায়িত্বটা কী, কত বড়। আমি নিশ্চিত সামনেও সেটা চলমান থাকবে।’

এসএইচ/এইচজেএস 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *