বিতর্কিত পোশাক ও সাজের জন্য বরাবরই সংবাদের শিরোনাম হন ভারতের আলোচিত মডেল উরফি জাভেদ। নিজের উদ্ভট কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি উদ্ভট পোশাক দিয়ে আলোচনায় থাকতেই যেন পছন্দ করেন তিনি।
বিতর্কিত পোশাক ও সাজের জন্য বরাবরই সংবাদের শিরোনাম হন ভারতের আলোচিত মডেল উরফি জাভেদ। নিজের উদ্ভট কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি উদ্ভট পোশাক দিয়ে আলোচনায় থাকতেই যেন পছন্দ করেন তিনি।
সম্প্রতি পরনের পোশাক নিয়ে কারসাজি দেখাতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন এই মডেল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এমনই এক ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, উরফির পোশাকে আগুন লেগেছে। এতে তার চোখের পাপড়ি ও ভ্রু পুড়ে গেছে।
ইনস্টাগ্রামে সেই মুহূর্তের ভিডিও প্রকাশ করেছেন উরফি নিজেই। ভিডিওতে দেখা যায়, উরফির পরনে কালো রঙের চাপা পোশাক। নিচের দিকে বৃত্তের মতো মোড়ক। কারসাজিতে বৃত্তাকার অংশে আগুন ধরিয়ে দেন উরফি। সেই অগ্নিশিখায় পুড়ে যায় তার ভ্রু ও চোখের পাপড়ি।
ভিডিওটি পোস্ট করে উরফি ক্যাপশনে লেখেন— ‘আমার ভ্রু, চোখের পাপড়ি পুড়ে গেছে। তবে সবকিছুই সার্থক হয়েছে।’
বলিউড লাইফের তথ্য অনুসারে, উরফিকে আগামীতে দেখা যাবে ‘ফলো কারলো ইয়ার’ ওয়েব সিরিজে। যেখানে এই মডেলের জীবনের উত্থান-পতন তুলে ধরা হয়েছে। এরই প্রচার অনুষ্ঠানে নিজের পরনের পোশাকে আগুন ধরিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন এই অভিনেত্রী।
এর আগে ইন্ডিয়া টুডে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির হয়ে জীবনের গল্প বলেছিলেন উরফি জাভেদ। এ বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মুম্বাই এসে ৭ বছর সংগ্রাম করেছি। ১৭ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়িয়েছি। আমি আগে থেকেই পোশাকের ব্যাপারে সাহসী ছিলাম। কিন্তু আমার বাবা খুব রক্ষণশীল; যার জন্য বাবা আমাকে মারধর করতেন। ওই সময়ে আমার কাছে দুটো অপশন ছিল। এক. আত্মহত্যা করা। দুই. নিজের মতো দুনিয়া গড়তে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া। পরে আমি দ্বিতীয় পথ বেছে নিই।’
অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত উরফিকে তার বাবা মারধর করতেন। এসব তথ্য উল্লেখ করে অন্য একটি সাক্ষাৎকারে উরফি বলেছিলেন, ‘‘আমি কিছু লোকজনের ‘শিকার’ হয়েছিলাম। আত্মীয়-স্বজনরা এমন করলে মানা যায়। কিন্তু নিজের বাবা এমন করলে মেনে নেওয়া সহজ না। দুই বছর অনেক শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সহ্য করেছি, লোকজন খারাপ শব্দে আমায় ডাকত। যতক্ষণ অজ্ঞান না হই ততক্ষণ বাবা মারতেন।’
এসব গল্পই উঠে আসতে পারে এই ওয়েব সিরিজে। তার আগেই পোশাকে আগুন ধরিয়ে নতুন করে সংবাদের শিরোনাম হলেন তিনি।
এনএইচ