বিষয় পরিবর্তন করুন
নেতিবাচকতা আমাদের গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। একটু খেয়াল করে দেখলেই বুঝতে পারবেন, আপনার আশেপাশেও এমন নেতিবচাক কেউ না কেউ রয়েছে, যে সবকিছুতেই নেতিবাচকতা প্রকাশ করে। তার প্রতিটি মন্তব্য, প্রতিটি মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গিতে মিশে থাকে নেতিবাচকতা। এ ধরনের আচরণ আপনার মেজাজকে প্রভাবিত করতে পারে। ইতিবাচক থাকতে এবং সুস্থতা রক্ষা করতে আপনাকে এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
বিষয় পরিবর্তন করুন
আপনি যখন লক্ষ্য করেন যে কথোপকথনটি নেতিবাচক হয়ে যাচ্ছে, তখনই তাকে ইতিবাচক বা নিরপেক্ষ বিষয়ে পরিবর্তন করুন। নেতিবাচক লোকদের সরাসরি থামাতে বলা বা তাদের নেতিবাচকতা দিলে তা বেশিরভাগ সময়েই কার্যকর হয় না। এর পরিবর্তে কথোপকথনকে বদলে দেওয়ার জন্য সাম্প্রতিক সুসংবাদ বা আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা তুলে ধরুন। এই পদ্ধতিটি মেজাজ হালকা রাখতে সাহায্য করে এবং নেতিবাচকতার প্রভাব হ্রাস করে।
স্বল্প সময় কথা বলুন
আমরা যতই ইতিবাচক হওয়ার চেষ্টা করি না কেন, নেতিবাচক মানুষেরা আমাদের নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তাদের নেতিবাচকতা আমাদের মেজাজ এবং শক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই তাদের সঙ্গে মন খুলে কথা না বলাটা গুরুত্বপূর্ণ। যারা আপনাকে মূল্য দেয় না তাদের সঙ্গে সময় কম ব্যয় করুন। এটি আপনার সুস্থতার ওপর তাদের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।
জাজ করবেন না
যখন কেউ নেতিবাচক হয়, তখন তাদের নেতিবাচক বলে মনে করা এবং তাদের অনুভূতি উপেক্ষা করা সহজ। এটি সমস্যা এবং ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করতে পারে। এর পরিবর্তে বোঝার চেষ্টা করুন যে তাদের নেতিবাচকতা তাদের নিজস্ব সংগ্রাম থেকে আসতে পারে। তাই তাদের জাজ না করে নিজেকে ইতিবাচক রাখার দিকে মনোনিবেশ করুন।
ভালো দিকগুলোতে মনোযোগ দিন
আপনার জীবনের ভালো দিকগুলো মনে করুন, যেমন আপনার শখ, সহায়ক বন্ধু বা ব্যক্তিগত সাফল্য। এই ইতিবাচক জিনিসগুলো সম্পর্কে চিন্তা করলে তা আপনাকে সুখী করবে। এই অভ্যাস কাজে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করবে। ইতিবাচক জিনিসগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে আপনি শক্তিশালী থাকার এবং নেতিবাচকতাকে প্রভাবিত করতে না দেওয়ার ক্ষমতা তৈরি করতে পারেন।
এইচএন