কুমিল্লায় বিএনপির এক পক্ষের ওপর আরেক পক্ষের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ হামলায় বিএনপির একটি পক্ষের ৭ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতরা সবাই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কুমিল্লায় বিএনপির এক পক্ষের ওপর আরেক পক্ষের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ হামলায় বিএনপির একটি পক্ষের ৭ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতরা সবাই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দিঘিরপাড় এলাকায় এ হামলা চালানো হয়।
আহতরা সবাই আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য কাজী নূর আহমেদ শরীফের অনুসারী এবং বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
স্থানীয়রা জানান, আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক রেজাউল কাইয়ুমের সঙ্গে আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য কাজী নূর আহমেদ শরীফের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে। এ বিরোধের জেরে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরাজমান।
ওই দ্বন্দ্বের জেরে শুক্রবার রাতে দুই মাইক্রোবাসে চড়ে একদল দুর্বৃত্ত বিএনপি নেতা কাজী নূর আহমেদ শরীফের অফিসে হামলা চালায়। এতে বিএনপি নেতা শরীফ, গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, আব্দুল হান্নানসহ অন্তত ৭ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সবাই সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
উপজেলা বিএনপির সদস্য কাজী নূর আহমেদ শরীফ সাংবাদিকদের বলেন, রেজাউল কাইয়ুমের নির্দেশনায় আমাদের ওপর হামলা করেছেন দুর্বৃত্তরা। তাদের লক্ষ্য ছিল আমাকে হত্যা করা। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমি বেঁচে যাই। আমার অফিসে অবস্থান করা ৭ জন আহত হয়েছেন। আমি এই হামলার বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক রেজাউল কাইয়ুমকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তার মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহিনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরিফ আজগর/এসকেডি