বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদাররা সমসাময়িক সমস্যা ও সমাধানকল্পে মতবিনিময় সভা করেছে। সভায় ঠিকাদার নেতারা তাদের বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেছেন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদাররা সমসাময়িক সমস্যা ও সমাধানকল্পে মতবিনিময় সভা করেছে। সভায় ঠিকাদার নেতারা তাদের বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর এক রেস্তোরাঁয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঠিকাদারির সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় ও সমাধান তুলে ধরে তারা বলেন, বর্তমানে সব কাজের ক্ষেত্রে ওটিএম পদ্ধতিতে টেন্ডার আহ্বানের ফলে কয়েকজন নির্ধারিত ঠিকাদার সব কাজ বরাদ্দ পাচ্ছেন। এতে আঞ্চলিক সাধারণ ঠিকাদারেরা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ছিটকে পড়ছেন। এই বিদ্যমান অবস্থার অবসানের জন্য অনুন্নয়ন রাজস্ব খাতের সকল কাজ এলটিএম ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে। এডিবিভুক্ত সকল প্রকল্পের কাজের ন্যূনতম ১০ শতাংশ কাজ এলটিএম ভিত্তিতে করার জন্য প্রয়োজনে প্রকিউরমেন্ট প্ল্যান সংশোধন করার আহ্বান জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, ইন্স্যুরেন্স করতে প্রিমিয়াম ও ভ্যাটবাবদ যে অর্থ ঠিকাদারদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো সিন্ডিকেট করে সাধারণ বীমা করপোরেশন থেকে ইন্স্যুরেন্স করা বাধ্যতামূলক করেছে, তা তাদের উপর জুলুম। সরকার গঠিত টাস্কফোর্স হরহামেশাই সাইট থেকে ব্যাগের নমুনা সংগ্রহ করে কোন ব্যত্যয় পেলেই ব্যাগ বাতিল করেন। প্রতিটি গণনার সময় নমুনা সংগ্রহ ও টেস্ট সম্পাদনের যাবতীয় ব্যয় তাদের বহন করতে হয়। এ টেস্টের ফলাফল ঠিকাদারদের সরবরাহ করা হয় না এবং অনেক বিলম্বে তারা মৌখিকভাবে জানতে পারে। তখন ব্যাগ বাতিলের বিষয়ে জিও-টেক্সটাইল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট কোনো অভিযোগই গ্রহণযোগ্য হয় না। এ অবস্থায় টাস্কফোর্স কর্তৃক সব জিও-টেক্সটাইল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে পানি উন্নয়ন বোর্ডে তালিকাভুক্ত করে জিও-ব্যাগ গণনার সময় যে নমুনা ফেল করবে, তাকে টাস্কফোর্স কালো তালিকাভুক্ত করতে হবে।
এএসএস/এমজে