নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় নিখোঁজের ১১ দিন পর ইয়াসিন আরাফাত (১৫) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে কবিরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গের দিঘি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় নিখোঁজের ১১ দিন পর ইয়াসিন আরাফাত (১৫) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে কবিরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গের দিঘি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ইয়াসিন আরাফাত কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তমপুর লামছি গ্রামের ছোবু ভূঁঞা বাড়ির মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের ছেলে।
আটককৃত কিশোররা হলেন—উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তমপুর লামছি গ্রামের মহিন উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন জিহাদ (১৫) ও কবিরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর অজি উল্যার ছেলে ইব্রাহীম খলিল আকিল (১৭)।
জানা যায়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ইয়াসিন আরাফাত নিখোঁজ ছিল। তার মা শাহানারা আক্তার অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২৮ তারিখ কবিরহাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তারপর পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে সন্দেহজনক দুইজনকে আটক করেন। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে কসটেপ পেঁচানো হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের মা শাহানারা আক্তার অভিযোগ করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছেলেকে না পেয়ে আমরা থানায় নিখোঁজ জিডি করেছি। আজ জানতে পেরেছি, পূর্ব বিরোধের জেরে আমির হোসেন ও আকিল তার দুই বন্ধু টিকটক বানানোর কথা বলে তাকে হাত-পা বেঁধে কসটেপ পেঁচিয়ে দিঘির পানিতে ফেলে হত্যা করে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নিখোঁজের তিন দিন পর নিহত কিশোরের মা শাহানারা আক্তার কবিরহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির আলোকে ঘটনার ১১ দিন পর পুলিশ অভিযুক্ত দুই কিশোরকে আটক করে। একপর্যায়ে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
হাসিব আল আমিন/এএমকে