নিউইয়র্কে ‘শান্তির বাংলাদেশ’ শীর্ষক একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী

নিউইয়র্কে ‘শান্তির বাংলাদেশ’ শীর্ষক একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী

২১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে, নিউইয়র্কের জামাইকা কুইন্স সেন্টারে ‘শান্তির বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক দিনের একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। 

২১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে, নিউইয়র্কের জামাইকা কুইন্স সেন্টারে ‘শান্তির বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক দিনের একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও ভ্রমণ লেখক মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের (মুস্তাফিজ মামুন) ২০টি আলোকচিত্র স্থান পায়। যৌথভাবে আয়োজন করে ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশন অব দ্য ইউএসএ (ইউএনএ-ইউএসএ), এলহাম একাডেমি, নিউ ইয়র্ক এবং সেভ দ্য পিপল। সহায়তায় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পিস সেন্টার।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে জামাইকা কুইন্স সেন্টারের এলহাম একাডেমির প্রাঙ্গণে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন রিপাবলিকান কংগ্রেস নেতা পল কিং। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএনএ-ইউএসএ কুইন্স অধ্যায়ের আউটরিচ কো-অর্ডিনেটর ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মাসুদুল হাসান ও সোহারাব সরকার, মিয়ামি খতিব আবদুল হাকিম আল আজাদি, লেখক মুক্তি জহির এবং জহির ইসলাম। এছাড়াও আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশি আলোকচিত্রী তানভীর হাসান রোহান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের সৌন্দর্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন মোস্তাফিজুর রহমান। এই প্রদর্শনী ছিল সেই ধারাবাহিকতারই প্রকাশ। সৌন্দর্যের পাশাপাশি শান্তির সহাবস্থান প্রদর্শনীটিকে ভিন্নমাত্রা দিয়েছে। চমকপ্রদ প্রাকৃতিক দৃশ্য থেকে বাংলাদেশর মানুষের শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থান তুলে ধরেছে।

প্রধান অতিথি পল কিং মোস্তাফিজুর রহমানের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের চমৎকার দৃশ্যাবলি ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের যে চিত্র রহমান তুলে ধরেছেন তা আমাকে মুগ্ধ করেছে।

অনুষ্ঠানে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ  বলেন, আন্তর্জাতিক দর্শকদের কাছে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরার জন্য আমি মোস্তাফিজুর রহমানকে অভিনন্দন জানাই।

খতিব আবদুল হাকিম আল আজাদি প্রদর্শনী সম্পর্কে তার মতামত প্রকাশ করে বলেন, এই ছবিগুলিতে চিত্রিত শান্তির বাংলাদেশের প্রদর্শনী সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি এবং সবসময় এর সমৃদ্ধি কামনা করি। মোস্তাফিজুর রহমানের এই অসাধারণ ছবি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখবে বলে আমরা আশা করি।

আলোকচিত্রী তানভীর হাসান রোহান বলেন, মোস্তাফিজুর রহমানের আলোকচিত্রের মাধ্যমে, আপনারা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং দেশের সৌন্দর্য সর্বোত্তমভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন।

জামাইকার একজন শিক্ষার্থী আবদুল হান্নান বলেন, আমি প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত ছবিগুলোর মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ দেখেছি।

প্রদর্শনীর দর্শকদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী। এই ছবিগুলো তাদের জন্য বাংলাদেশের একটি নতুন দৃষ্টিকোণ উপস্থাপন করেছে, যাদের অনেকেই নিউ ইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেছে এবং বেড়ে উঠেছে।

নিউ ইয়র্কে উচ্চশিক্ষা গ্রহণরত বাংলাদেশের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রিয়াদ হোসেন বলেন, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমি অনুভব করেছি যেন পুরো বাংলাদেশকে আমি এই ছবিগুলোর মধ্যে ফ্রেমবন্দি অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি। এছাড়াও দেশের মনোরম পর্যটন স্থানগুলোকে নতুন দৃষ্টিকোণে আবিষ্কার করেছি। সুন্দরবনের মধুর কথা শুনেছি, কিন্তু কখনো মধু সংগ্রহের প্রক্রিয়া দেখিনি, যতক্ষণ না আমি এই ছবি দেখেছি।

ইউএন বাংলার প্রেসিডেন্ট ও সিইও মুক্তি জহির মন্তব্য করেন, বাংলাদেশের খ্যাতিমান ফটোগ্রাফার মোস্তাফিজুর রহমানের তোলা ছবিগুলি দেখে আমি মুগ্ধ।

সমাপনী বক্তব্যে মোস্তাফিজুর রহমান প্রদর্শনী আয়োজনের জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি এমন আয়োজনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন যা আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রচারে সহায়ক এবং দেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি গভীর অনুপ্রেরণা দেয়।

এনএম/এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *