নাটোর শহরের রাজিব হত্যাসহ চার মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। সেই সঙ্গে সেসব মামলার সব অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
নাটোর শহরের রাজিব হত্যাসহ চার মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। সেই সঙ্গে সেসব মামলার সব অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) বিকেলে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার বেগম এ রায় দেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের সবাইকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী রুহুল আমীন তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৯ আগস্ট নাটোর শহরের স্টেশন বাজারে নাটোর পৌর যুবলীগের জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে আসার সময় তেবাড়িয়া মামুন বেকারীর সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় হুগোলবাড়িয়া মল্লার আমিনের ছেলে যুবলীগ কর্মী মো. রাজিবকে বিএনপি নেতা দুলুর নির্দেশে মারধর ও পরে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। পরের দিন তার স্বজন কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। তাতে দুলুকে হত্যার হুকুমদাতা, নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফয়সাল আলম আবুল ব্যাপারী, তার আপন বড় ভাই কাজল ব্যাপারী, কামাল ব্যাপারী ও ছোট ভাই জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম ব্যাপারীসহ মোট ৩৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলাটি হয়। বাদী পক্ষ আদালতে অভিযোগের পক্ষে উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ দিতে না পারায় আদালত অভিযুক্ত সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
এছাড়া ২০০৭ সালে দুলু তার সহকারী শফিকুল ইসলাম ওরফে শফি হুজুরকে সাতটি ও শহরের হাজরা নাটোরের দিন মুজুর দারু মিয়াকে (৬৮) চারটি সরকারি ত্রাণের ঢেউ টিন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগসহ মোট চারটি মামলায় আদালত দুলুসহ সব অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
গোলাম রাব্বানী/এফআরএস