নরসিংদীর জনতা জুটমিল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

নরসিংদীর জনতা জুটমিল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

নরসিংদীর পলাশের জনতা জুটমিলের শ্রমিকদের ১৪ দফা দাবি আদায়কে কেন্দ্র করে ব্যাপক ভাঙচুর ও অর্ধকোটি টাকা লুটপাটের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য মিলটি বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। 

নরসিংদীর পলাশের জনতা জুটমিলের শ্রমিকদের ১৪ দফা দাবি আদায়কে কেন্দ্র করে ব্যাপক ভাঙচুর ও অর্ধকোটি টাকা লুটপাটের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য মিলটি বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মিল বন্ধ ঘোষণার নোটিশ টানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।

জনতা জুটমিলে প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক কর্মরত ছিলেন, পুনরায় চালু করার সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না করে বন্ধ ঘোষণায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বন্ধ ঘোষণার পরে মিলটির কলোনি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বসবাসরত হাজারো শ্রমিক।

জনতা জুট মিলস লি.এর পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার মো. মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, জনতা জুট মিলস লি.-এ গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর মধ্যবর্তী বিভিন্ন সময়ে কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারী প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে দাঙ্গা হাঙ্গামা, বেআইনি ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং ভাঙচুরে লিপ্ত হয়। এমতাবস্থায় প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পরায় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১২ (১) অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সব উৎপাদন কার্যক্রম ৭ সেপ্টেম্বর এ শিফট হতে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। 

বন্ধকালীন সময়ের দীর্ঘসূত্রতার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম আইন এবং শ্রম বিধিমালা অনুযায়ী উপযুক্ত শ্রমিকরা ধারা ১২ (৬), ১২ (৭) বা ১২ (৮) অনুসারে মজুরি প্রাপ্য হবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব শ্রমিককে জনতা জুট মিলস লি.- এর কর্মক্ষেত্রে যোগদান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হল।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে আকিজ-বশির গ্রুপের মালিকানাধীন জনতা জুট মিলস লি.-এ ১৪ দফা দাবি আদায়কে কেন্দ্র করে ব্যাপক ভাঙচুর করেন মিলের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। হামলায় মিলের প্রশাসনিক ভবন, লেবার অফিস, নিরাপত্তা অফিস, গেস্ট হাউজসহ বিভিন্ন অফিস কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এসময় বাধা দিতে গিয়ে মিলের ৬ নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়। খবর পেয়ে র‌্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তন্ময় সাহা/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *