বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থান করছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ। এর প্রভাবে সারাদেশেই ঝরছে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি। একই সঙ্গে লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল আছে নদীপথও। উপকূলীয় অঞ্চলের নদীতে সৃষ্টি হয়েছে প্রচণ্ড ঘূর্ণন (রোলিং)। ফলে ৬টি রুটে নৌযান চলাচল বন্ধের পূর্ববর্তী নির্দেশনা এখনও বহাল রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থান করছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ। এর প্রভাবে সারাদেশেই ঝরছে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি। একই সঙ্গে লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল আছে নদীপথও। উপকূলীয় অঞ্চলের নদীতে সৃষ্টি হয়েছে প্রচণ্ড ঘূর্ণন (রোলিং)। ফলে ৬টি রুটে নৌযান চলাচল বন্ধের পূর্ববর্তী নির্দেশনা এখনও বহাল রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা এহতেশামুল পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে ৬টি রুটে নৌযান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। মূলত, উপকূলীয় অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া, সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারির কারণেই এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এখনও যেহেতু আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি সে জন্য এই নির্দেশনা বহাল রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের নদীতে প্রচণ্ড রোলিং (ঘূর্ণন) তৈরি হয়েছে। ফলে যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সে জন্য যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা থেকে হাতিয়া, ঢাকা থেকে বেতুয়া, ঢাকা থেকে খেপুপাড়া, ঢাকা থেকে চরমোন্তাজ, ঢাকা থেকে রাংগাবালী, ঢাকা থেকে মনপুরাগামী উপকূলীয় অঞ্চলের নৌপথের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের এই ঘোষণা বলবত থাকবে।
>> আবহাওয়ার সব তথ্য পেতে ক্লিক করুন এখানে
অপরদিকে শিগগিরই বৃষ্টিপাত কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ সকালে প্রকাশিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে লঘুচাপ। যার প্রভাবে খুব সহসাই বৃষ্টি বন্ধ হচ্ছে না। বরং আরও কয়েকদিন এমন প্রবণতা অব্যাহত থাকার ইঙ্গিতও দিয়েছে সংস্থাটি।
আরএইচটি/এসকেডি